ভোট বাতিলের দাবিতে আবু সুফিয়ান ও মাহমুদুল ইসলামসহ ৭৪ প্রার্থীর মামলা

নিউজ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে হাইকোর্টের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন বিএনপি, গণফোরাম, পিডিপিসহ পরাজিত ৭৪ জন প্রার্থী।

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই ৭৪ পরাজিত প্রার্থী মামলা করেন। নির্বাচনে জাল ভোট, অ্যাজেন্টদের বের করে দেওয়া, একতরফা ভোট, কারচুপি ও ভোটডাকাতির অভিযোগ এনে ভোট বাতিলের দাবিতে এই মামলাগুলো করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।

প্রত্যেক আবেদনকারী নিজ নির্বাচনি আসনের অন্য প্রার্থীদের বিবাদী করা হয়েছে। আবেদনে বিবাদীদের প্রতি নোটিশ ও সাক্ষীদের তলবের আবেদন করা হয়েছে। আর ওই আসনের বিজয়ী প্রার্থীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল চাওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক সংসদীয় আসনের নির্বাচন বাতিল চাওয়া হয়েছে।

আবেদনকারীরা হলেন—মো. আবু সুফিয়ান (চট্টগ্রাম-৮), মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৬), আব্দুল মোমেন চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৫),সুব্রত চৌধুরী (ঢাকা-৬ (গণফোরাম,) মফিজুল ইসলাম খান কামাল মানিকগঞ্জ-৩, মেজর জেনারেল আ আ স ম আমিন (কুড়িগ্রাম-২), সাইফুল ইসলাম ফিরোজ (ঝিনাইদহ-৪), আবুল কালাম আযাদ সিদ্দিকী (টাঙ্গাইল-৭), জয়নুল আবেদীন (বরিশাল-৩), রুমানা মাহমুদ (সিরাজগঞ্জ-২), জহির উদ্দিন স্বপন (বরিশাল-১), শাহ রিয়াজুল হান্নান (গাজীপুর-৪), নাছের রহমান (মৌলভীবাজার-৩), আব্দুল হাই (মুন্সীগঞ্জ-৩), হাফিজ ইব্রাহিম (ভোলা-২), রুহুল আমি দুলাল (পিরোজপুর-৩)।

ডাক্তার দেওয়ান মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন (ঢাকা-১৯), হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (ভোলা-৩), তাজভীর উল আলম (কুড়িগ্রাম-৩), মো. সাইফুল ইসলাম (রংপুর-৬), মো. সাদেক রিয়াজ (দিনাজপুর-২), মোস্তফা মহসীন মন্টু (ঢাকা-৭), নজরুল ইসলাম আযাদ (নারায়ণগঞ্জ-২), মইনুল ইসলাম খান শান্ত (মানিকগঞ্জ-২), ইরফান ইবনে আমান অমি (ঢাকা-২), নবী উল্লাহ নবী (ঢাকা-৫), আশরাফ উদ্দিন (নরসিংদী-৫), মো. আমিরুল ইসলাম খান (সিরাজগঞ্জ-৫), শহীদুল ইসলাম (টাঙ্গাইল-১), ফরহাদ হোসেন আযাদ (পঞ্চগড়-২), মো. হাসান রাজিব প্রধান (লালমনিরহাট-১), মো. আক্তারুজ্জামান মিয়া (দিনাজপুর-৪), মো. শাহজাহান মিয়া (চাপাইনবাবগঞ্জ-১), মিজানুর রহমান (সুনামগঞ্জ-৫), মো. জি কে গউছ (হবিগঞ্জ-৩), মজিবুর রহমান চৌধুরী (মৌলভীবাজার-৪), ফারুক আলম সরকার (গাইবান্ধা-৫)।

শফী আহমেদ চৌধুরী (সিলেট-৩), মো. আনোয়ারুল হক (নেত্রকোনা-২), শাহ মো. ওয়ারেস আলী (জামালপুর-৫), নিতায় রায় চৌধুরী (মাগুরা-২), অনিন্দ্য ইসলাম অমিত (যশোর-৩), মাসুদ অরুন (মেহেরপুর-১), আমিন উর রশীদ (কুমিল্লা-৬), এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন (নোয়াখালী-১), শহীদুল ইসলাম ভুইয়া (খাগড়াছড়ি), সাব্বির আহমেদ (রংপুর-৩) পিডিপি, মুন্সী রফিকুল আলম (ফেনী-১) জয়নুল আবদীন ফারুক (নোয়াখালী-২), সাচিং প্রু (বান্দরবান), শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক (চাঁদপুর-৩)।

আবুল খায়ের ভুইয়া (লক্ষ্মীপুর-২), জাকির হোসেন সরকার (কুষ্টিয়া-৩), রকিবুল ইসলাম (খুলনা-৩), শ্যামা ওবায়েদ ইসলাম (ফরিদপুর-২), আনিছুর রহমান (মাদারীপুর-৩), আাজিজুল বারী হেলাল (খুলনা-৪), শাহ মো. আবু জাফর (ফরিদপুর-১), মো. শরীফুজ্জামান (চুয়াডাঙ্গা-১), হাবিবুল ইসলাম হাবিব (সাতক্ষীরা-১), আলী নেওয়াজ মো. খৈয়ম (রাজবাড়ী-১), আকবর হোসেন ফেনী-৩, রুমানা মাহমুদ (সিরাজগঞ্জ-২), বরকত উল্লাহ বুলু (নোয়াখালী-৩), তাসভীরুল ইসলাম ( কুড়িগ্রাম-৩) ও আসমা আমিন (কুড়িগ্রাম-২)।

উল্লেখ্য, এসব আবেদন শুনানির জন্য বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার, বিচারপতি রেজউল হাসান, বিচারপতি একেএম জহিরুল হক, বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান, বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনকে নিয়ে পৃথক পৃথক নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

প্রসঙ্গত, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের ৪৯ ধারা অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের নাম ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে হয়। গত ২ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ীদের নাম ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে।