ঘন্টাব্যাপী গুলিবিনিময়: তিন ডাকাত আটক

<strong>কক্সবাজার প্রতিনিধি।</strong>

কক্সবাজারের চকরিয়ায় সড়ক ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশ ডাকাত ঘন্টাব্যাপী গুলিবিনিময় হয়েছে। ওই সময় ওসি ও দুই এসআই আহত হয়। পুলিশ ধাওয়া করে তিনজন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬টি বন্দুক, ১৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, দুটি চাকু ও নকল চুলের মুখোশ একটি। চকরিয়া-লামা সড়কের ফাঁশিয়াখালী রিংভং এলাকায় গত বুধবার রাত সোয়া ১১টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোররাত সোয়া ১২টা পর্যন্ত গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
গোলাগুলিতে আহত হয় চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, এসআই মো. আলমগীর ও এসআই সুকান্ত চৌধুরী। আহত পুলিশ কর্মকর্তারা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাতরা হলেন, চকরিয়া উপজেলা খুটাখালীর গর্জনতলীর নুরুল হুদার ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন (২৮), ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কাটাখালীর মৃত আনু মিয়ার ছেলে এনামুল (৩৫) ও মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ জাফুয়ার জালাল আহমদের ছেলে আবদুল হামিদ (৩০)। ধৃতদের বিরুদ্ধে চকরিয়া, লামা ও মহেশখালী থানায় ৮টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে এলাকার লোকজন থেকে খবর পাওয়া যায় চকরিয়া-লামা সড়কের ফাঁশিয়াখালী রিংভং বালু রাস্তার মাথায় সড়ক ডাকাতি করতে জড়ো হয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে ৭-৮জন সশস্ত্র ডাকাত। খবর পেয়ে ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে এসআই তানভীর আহমদ, এসআই আলমগীর, এসআই সুকান্ত চৌধুরী ও এসআই চম্পক বডুয়াসহ একদল পুলিশ রাত সোয়া ১১টায় ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু গুলি ছোঁড়ে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি করে। পুলিশের পক্ষ থেকে ২৩ রাউন্ড ও ডাকাতরা অর্ধশতাধিক রাউন্ড গুলি করে।
গুলিবিনিময়কালে ডানপায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, বা হাতে গুলি লেগে এসআই আলমগীর ও এসআই সুকান্ত চৌধুরীর বাম পায়ের পাতায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
একপর্যায়ে পুলিশের দৃঢ় মনোভাবের টেকতে না পেরে ডাকাতরা গহীণ অরণ্যে পালানোর চেষ্টা করে। ডাকাত দলের ৪-৫জন পালাতে পারলেও ধাওয়া করে ৩ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ধৃত তিন ডাকাতের মধ্যে গিয়াস উদ্দিনের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরী একনলা বন্দুক ও ৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, এনামুল হকের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরী বন্দুক (এলজি) ও ৬ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, আবদুল হামিদের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরী একনলা বন্দুক ও ৬ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, অন্য ডাকাতদের ফেলে প্লাষ্টিকের বস্তার ভেতর থেকে তিনটি দেশীয় তৈরী বন্দুক (এলজি), দুইটি চাকু ও চুলের মুখোশ উদ্ধার হয়। ধৃত তিনজনের বিরুদ্ধে এসআই মো. আলমগীর বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ডাকাতির প্রস্তুতি,অস্ত্র আইন ও পুলিশ এসল্টের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।