লিজের শর্ত ভঙ্গ: দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো

চাক্তায়ের ড্রামপট্টিতে লিজের শর্ত ভঙ্গ করে গণশৌচাগারের আড়ালে ৩টি স্থায়ী ও ১টি টং দোকান নির্মাণ করায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন লিজ গ্রহীতা অভিজিত পান্ডেকে নোটিশ দিলে তিনি শর্ত ভঙ্গ করেননি বলে সাফাই দেন।

এরপর চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।

এর ধারাবাহিকতায় রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায় লিজ গ্রহীতা শর্ত ভঙ্গ করে পাকা দোকান নির্মাণ করে লাগিয়ত করেছেন। শর্ত ভঙ্গের দায়ে চসিকের ভূ-সম্পত্তি শাখা এ অবৈধ স্থাপনা ৩টি ও টং ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।

এ সময় চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মুফিদুল আলম, এস্টেট অফিসার কামরুল ইসলাম চৌধুরীসহ করপোরেশনের বিদ্যুৎ ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে চসিক প্রশাসক বলেন, আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম চসিকের সম্পত্তি অবৈধ দখলদারের কাছ থেকে উদ্ধার করতে নগরবাসীর তথ্য কাজে লাগানো হবে। এ ঘোষণায় নগরবাসীর ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।

তিনি নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, চসিক আপনাদেরই প্রতিষ্ঠান। পথচারীরাই গণশৌচাগার ও ফুটপাতের একমাত্র ব্যবহারকারী। তাই আপনাদের অধিকার রক্ষায় আমাকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌসের নেতৃত্বে সকালে নগরের লালখান বাজার মোড় থেকে মমতা ক্লিনিক পর্যন্ত চাঁনমারী সড়কের উভয় পাশের ফুটপাত ও সড়ক অবৈধভাবে দখল করে বসা প্রায় ৫০টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়। ফুটপাতের অংশ অবৈধভাবে দখল করে নির্মিত প্রায় ৩০টি দোকানের বর্ধিত অংশ অপসারণ করা হয়। এসময় দোকানের পণ্যসামগ্রী সড়কে রেখে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি ও রাস্তায় অবৈধভাবে ট্রাক পার্কিংয়ের অপরাধে ১৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।