শীতের পর বসন্তে প্রাণের স্পন্দন ধরা পড়ে বলে মন্তব্য করেছেন কবি আবুল মোমেন।
বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নগরের সিআরবি শিরীষতলায় প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের আয়োজনে বসন্ত উৎসব উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আবুল মোমেন বলেন, চট্টগ্রামে শিমুল ও পলাশ গাছ কমে গেছে। একসময় বেশি ছিল। একেক ঋতুর বৈশিষ্ট্য আছে। প্রকৃতিতে পরিবর্তনের ছোঁয়া দেখতে পাই। ঋতুর মধ্যে বাণী আছে। বসন্তে প্রাণের স্পন্দন ধরা পড়ে। মানুষ সারা বছরের গ্লানি, দুঃখ ছাপিয়ে নতুন করে সাজিয়ে নেয় বসন্তে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, মানুষকে প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকতে হবে। চট্টগ্রামে নদী, সাগর, পাহাড়, হ্রদ আছে। এটি প্রকৃতির লীলাক্ষেত্র। এ সৌন্দর্য ধরে রাখতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাঙালির কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ধরে রেখে আমরা এগিয়ে যাব।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি, বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক নিতাই কুমার ভট্টাচার্য, দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহেদ মালেক।
অনিন্দ্য ব্যানার্জি বলেন, বসন্তে প্রকৃতি সেজেছে অন্যরূপে। বাংলাদেশ ও ভারত দুইদেশে প্রাচীনকাল থেকে বসন্ত উৎসব হয়ে আসছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তি নিকেতনে বর্ণিল আয়োজন হয় বসন্তে। বসন্ত উৎসব বাঙালির অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বসন্ত উৎসবে শুধু নিজেকে না রাঙিয়ে পাশের মানুষের জীবনও রাঙানোর আহ্বান জানান ওয়াহিদ মালেক।
নিতাই কুমার ভট্টাচার্য বলেন, কবি বলেছেন সকল দেশের রানি। এ রকম ঋতুবৈচিত্র্যের দেশ আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রাকৃতিক কারণে চট্টগ্রামের সংস্কৃতি অন্য জায়গার চেয়ে আলাদা। এখানকার বসন্ত উৎসবও বৈচিত্র্যপূর্ণ।
প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, সিসিএলের পরিচালক শ্যামল কুমার পালিত, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন, প্রমার সহ-সভাপতি তপন দাশ, স্বপন দাশ প্রমুখ।
অতিথিরা বেলুন উড়িয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।