ইনিংসের বিচারে এটা ওয়ানডে সুলভ নয়; নিতান্তই ধীরগতির। কিন্তু ম্যাচের পরিস্থিতি বিচারে মোহাম্মদ মিঠুনের এই ইনিংসটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সতীর্থদের ব্যর্থতার মাঝে একপ্রান্ত আগলে রেখে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি করতে তিনি খেলেছেন ৭৩ বল, হাঁকিয়েছেন ৪টি বাউন্ডারি। ৪০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৮১ রান।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই পেসার ম্যাট হেনরি আর ট্রেন্ট বোল্টের তোপের মুখে পড়ে টাইগাররা। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল (৫) এবং লিটন দাস (১) যথাক্রমে বোল্ট আর হেনরির শিকার হন। ভরসা দিতে পারেননি ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ মুশফিকুর রহিম। বোল্টের বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেছেন ৫ রান। আশার প্রদীপ হয়ে ছিলেন তিন নম্বরে নামা সৌম্য সরকার। ২২ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় বেশ চড়াও হয়েছিলেন তিনি। তবে ২২ বলে ৩০ রানের ইনিংসটি শেষ হয় হেনরির বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে।
৪২ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর দলের বিপর্যয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ মিঠুন আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিউই বোলারদের সামনে দুজনেই উইকেট বাঁচানোর লড়াইয়ে ছিলেন। ২৯ রানের ধীর গতির এই জুটি ভাঙে মাহমুদউল্লাহর (১৩) বিদায়েভ ফার্গুসনের বলে দুই দফায় বলটি তালুবন্দি করেন ব্রেন্ডন টেইলর। ৭১ রানে বাংলাদেশের ইনিংসের অর্ধেক শেষ হয়। স্যান্টনারের বলে ল্যাথামের গ্লাভসবন্দি হওয়ার আগে সাব্বিরের সংগ্রহ ২০ বলে ১৩ রান।
২৭ বলে ৩ চার ১ ছক্কায় ২৬ রানের দারুণ একটা কার্যকর ইনিংস উপহার দেন মেহেদী মিরাজ। একপ্রান্ত আগলে ধীরগতির ব্যাটিংয়ে লড়াই করেন মিঠুন। তার সঙ্গী হন সাইফউদ্দিন।
বাংলাদেশ একাদশ: মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ মিঠুন, সাইফ উদ্দিন, সাব্বির রহমান।
নিউজিল্যান্ড একাদশ: কেন উইলিয়ামসন, ট্রেন্ট বোল্ট, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, লকি ফার্গুসন, মার্টিন গাপটিল, ম্যাট হেনরি, টম ল্যাথাম, জিমি নিশাম, হেনরি নিকোলস, রস টেইলর, মিচেল স্যান্টনার।