উপজেলায় আ’লীগের প্রার্থী যারা

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চট্টগ্রামের ৭ উপজেলা ভোটগ্রহণ হবে ১৮ মার্চ। সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, মীরসরাই, হাটহাজারীতে দ্বিতীয় ধাপের তারিখ অনুযায়ী ১৮ মার্চ ভোটগ্রহণ হবে। এসব উপজেলায় মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি। মনোয়নপত্র বাছাই হবে ২০ ফেব্রুয়ারি। এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার শেষ দিন ২৭ ফেব্রুয়ারি।

জানা যায়, ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ এসব উপজেলায় এর মধ্যে দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। এর মধ্যে ৬ প্রার্থীর নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখন ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতাই শুধু বাকী। ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ উম্মুক্ত থাকছে।

শনিবার গণভবনে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দলীয় নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে।

হাটহাজারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল আলম। ফটিকছড়ি উপজেলায় মনোনয়ন পাচ্ছেন দলের উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী । রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় মনোনয়ন পাচ্ছেন আওয়ামীলীগের উপজেলা সভাপতি খলিলুর রহমান চৌধুরী ।

সীতাকুণ্ড উপজেলায় উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম আল মামুন , সন্দ্বীপ উপজেলায় শাহজাহান মিয়া, মিরসরাই উপজেলায় উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

ভাইস চেয়ারম্যানে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী থাকছে না

শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) চেয়ারম্যান পদে প্রথম পর্বের ৮৭টি উপজেলায় দলীয় প্রার্থী ঘোষণার সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, ভাইস চেয়ারম্যান পদটি উন্মুক্তই থাকছে। অর্থাৎ এই পদ দুটিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না, দলের যে কেউ প্রার্থী হতে পারবেন।

কিন্তু উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আওয়ামী লীগ জানিয়েছিল, দুটি ভাইস চেয়ারম্যান পদে দল থেকে প্রার্থী মনোয়ন দেওয়ার হবে না, এগুলো উন্মুক্ত থাকবে। এরপর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সাধারণ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্যও প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। সেজন্য চেয়ারম্যানের মতো ভাইস চেয়ারম্যানের মনোনয়ন ফরমও বিক্রি করা হয়।

গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হয়েছিল। ৪ দিনে বিক্রি হয় ৩ হাজার ৪৮৫টি ফরম।

বিএনপি স্থানীয় সরকারের এই ভোটে না আসায় নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার লক্ষ্যেই সিদ্ধান্তের এই পরিবর্তন বলে আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন।

সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের পর পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, যেহেতু সিদ্ধান্ত বদল হয়েছে, সুতরাং টাকা ফেরত দিয়ে দেব। প্রত্যেক প্রার্থীর টাকা নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।

সুত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তৃণমূলের সুপারিশে প্রার্থী বাছাই করছে। প্রতিটি পদের জন্য তৃণমূল থেকে তিনটি করে নাম পাঠানো হচ্ছে। তার মধ্য থেকে একজন প্রার্থী চূড়ান্ত করছে দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড। তবে তৃণমূল থেকে আসা সুপারিশে অনেক জায়গায় সংসদ সদস্যরা প্রভাব খাটিয়ে একক নাম পাঠাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠলে সেই ব্যবস্থা বদল করা হয়।