রপ্তানিতে বড় ধরণের ধ্বস

করোনা ভাইরাস মহামারিতে দেশের সেবা রপ্তানিতে বড় ধরণের ধ্বস নেমেছে। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে সেবা রপ্তানিতে সাড়ে ৫ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ২৮ শতাংশ কম।

দেড় মাস আগে অর্থবছর শেষ হলেও সোমবার গত অর্থবছরের সেবা খাতের রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সেবা রপ্তানি করে বাংলাদেশ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬১৩ কোটি ১৮ লাখ ডলার আয় করেছে। এই অংক ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে সাড়ে ৫ শতাংশ কম। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

গত অর্থবছরে সেবা খাতের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্র ধরা ছিল ৮৫০ কোটি ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আয় হয়েছিল ৬৪৯ কোটি ডলার।
গত কয়েক মাসের মতো সর্বশেষ জুন মাসেও করোনার প্রভাবে সেবা রপ্তানি কমেছে। এই মাসে ৪১ কোটি ডলারের সেবা রপ্তানি হয়েছে। যা লক্ষ্যের চেয়ে প্রায় ৪২ শতাংশ কম এবং গত বছরের জুন মাসের চেয়ে ১৮ শতাংশ কম।

জুন মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৭০ কোটি ৮৩ লাখ ডলার।
আর জুনে সেবা রপ্তানি থেকে এসেছে ৪১ কোটি ৬৩ লাখ ডলার।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের সেবা খাতের রপ্তানি আয়ের মধ্যে ৬০৫ কোটি ডলারই এসেছে সরাসরি সেবা খাত থেকে। অর্থাৎ মোট রপ্তানির ৯৮ শতাংশই এসেছে সরাসরি সেবা খাত থেকে। বাকিটা দেশের বন্দরগুলোতে পণ্যবাহী জাহাজগুলোর কেনা পণ্য ও সেবা এবং মার্চেন্টিংয়ের অধীনে পণ্য বিক্রির আয়।

কোনো অনাবাসীর কাছ থেকে পণ্য কিনে একই পণ্য কোনো অনাবাসীর কাছে বিক্রি করাকে মার্চেন্টিং বলে। এই প্রক্রিয়ায় মোট বিক্রি থেকে মোট ক্রয় বাদ দিয়ে নিট মার্চেন্টিং রপ্তানি আয় হিসাব করা হয়। দেশের স্থল, সমুদ্র বা বিমান বন্দরে বিদেশি পরিবহনগুলো সেসব পণ্য ও সেবা- যেমন জ্বালানি তেল ও মেরামত সেবা-কিনে থাকে সেগুলোকে সেবা খাতের আওতায় ধরা হয়েছে।