বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির আলোকবর্তিকা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির আলোকবর্তিকা; যার আলোয় বাঙালি জাতি আজ বিশ্ব দরবারে স্বমহিমায় আলোকিত।

শনিবার (১৫ আগস্ট) সকালে চবি উপাচার্য দফতরের সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কীর্তি’ এবং ‘শোকাবহ ১৫ আগস্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

চবি উপাচার্য তার ভাষণের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, রাজনীতির মহাকবি, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট হায়েনাদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হওয়া বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের ক্ষত চিহ্ন বাঙালি জাতিকে বয়ে বেড়াতে হবে যুগ যুগ ধরে। এ মহাপুরুষ মা-মাটি ও মানুষকে ভালোবাসতেন বলেই বাঙালি জাতির জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।

`মৃত্যুঞ্জয়ী এ মহাপুরুষকে সপরিবারে হত্যা করে হায়েনার দল চেয়েছিল বাঙালি জাতিকে বিশ্ব মানচিত্র থেকে নিশ্চিহ্ন করতে। কিন্তু তাতে তারা সফল হয়নি। পক্ষান্তরে হায়েনার দল আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। ‘

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। অন্ধকারের কোনো অপশক্তি এ গতি রোধ করতে পারবে না।

আলোচনা সভার শুরুতে সূচনা বক্তব্য রাখেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান।

এ সময় চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, অনুষদের ডিন, শিক্ষক সমিতির নেতা, হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক, শিক্ষক, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টর, অফিস প্রধান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা, অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারাসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এরপর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চবি শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অফিসার সমিতি এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী অন্যান্য শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফজরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল মসজিদে দোয়া মাহফিল, বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের স্ব স্ব উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।