শোভাযাত্রা ছাড়াই শুরু হয়েছে জন্মাষ্টমী উৎসব

করোনার সংক্রমণ রোধে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শোভাযাত্রা ছাড়াই শুরু হয়েছে তিনদিনব্যাপী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব।

মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) সকালে শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ-বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে নগর, জেলা ও উপজেলায় করোনাকালীন হতদরিদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত অসহায় পরিবারের মাঝে ও অনাথালয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি শুরু হয়।

পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দে বাংলানিউজকে বলেন, জন্মাষ্টমী উৎসবের খরচের অর্থ দিয়ে সারাদেশেই দরিদ্রদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। করোনার কারণে সব আয়োজনই হচ্ছে সীমিত পরিসরে। আমরা এবার শোভাযাত্রাও করিনি। শুধু মন্দিরে পরম প্রেমময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজার আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, কর্মসূচির প্রথম দিন মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) সকালে প্রবর্ত্তক সংঘ অনাথালয়, নন্দীরহাট নেহালপুর যোগাশ্রম, রাউজান জগৎপুর আশ্রম ও বোয়ালখালীর শাকপুরা মদন গোপাল আশ্রমে অনাথ ও দরিদ্রদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।

জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের কর্মকর্তারা জানান, মন্দিরের প্রবেশদ্বারে ভক্ত-দর্শনার্থীদের জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি সবাইকে মাস্ক ও হ্যান্ডস গ্লাভস ব্যবহার করতে এবং পরস্পর থেকে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে।

জন্মাষ্টমীর কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সন্ধ্যা ৭টায় গীতাপাঠ ও সন্ধ্যা আরতি, রাত ৮টায় দেশ, জাতি ও বিশ্বমানবের মঙ্গল কামনায় সমবেত প্রার্থনা এবং রাত ১২টায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পূজা।

জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তপন কান্তি দাশ বলেন, ৩৭ বছর পূর্বে ১৩৯০ বঙ্গাব্দে চট্টগ্রামে কৃষ্ণপ্রেমী কয়েকজন ভক্তের প্রচেষ্টায় গঠিত হয় শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ নামের এই ধর্মীয় সংগঠন। শুরুতে সংগঠনটির উদ্যোগে নগর কেন্দ্রিক উৎসব আয়োজন করা হলেও ধীরে ধীরে সেটি শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে।

‘এবার করোনার কারণে সব আয়োজন সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে। জেএমসেন হল সংলগ্ন পরিষদ কার্যালয়ের ৩য় তলায় রাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজার আয়োজন করা হয়েছে’ বলেন তিনি।