বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে রাঙামাটি পিসিআর ল্যাব উদ্বোধন

রাঙামাটি সদর হাসপাতালে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে নির্মিত পিসিআর ল্যাব উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধান অতিথি থেকে ল্যাবের উদ্বোধন করেন রাঙামাটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।

সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক (ডিসি) একেএম মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের পর সচিব প্রবণ চৌধুরীসহ অন্যান্যরা মিলে ল্যাবের সার্বিক ব্যবস্থাপনার খোঁজখবর নেন।

রাঙামাটি করোনা ইউনিটের ফোকাল পার্সন ডা. মোস্তফা কামাল বলেন, ল্যাবটি পরিচালনা করার জন্য একজন ভাইরোলজিস্ট এবং তিনজন মেডিক্যাল ল্যাব সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ল্যাবের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার লক্ষ্যে আউটসোর্সিং প্রকল্পের মাধ্যমে স্বল্প মেয়াদী কিছু লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে।

ডা. মোস্তফা আরও বলেন, ল্যাবের উদ্বোধন হলেও এর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে আরও কয়েকদিন লাগতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে সব কাজ শেষ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় রাঙামাটিতে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি ছিল জেলাবাসীর। কারণ এ অঞ্চলটি খুবই দুর্গম। এখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে পাঠানো আরও কষ্টসাধ্য ব্যাপার। যার কারণে রাঙামাটিবাসীর কষ্টের কথা শুনে এগিয়ে আসে বসুন্ধরা গ্রুপ। গত ২৬ জুন সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা, জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তত্ত্বাবধান ও পরিবীক্ষণ সংক্রান্ত সমন্বয় সভা হয়। পবন চৌধুরীর উপস্থিতিতে ওই সভার শুরুতে ল্যাব স্থাপনের জন্য দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে ৬৯ লাখ টাকার চেক রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৯৭৭ জন।

বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

দেশে গত ৮ মার্চ করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।