লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানায় ভূক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর মধ্যরাতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জায়গা জবর-দখলের অভিযোগ উঠেছে মাহামুদুল হক বাবুল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে । গত রবিবার (২ আগস্ট) দিনগত রাতে উপজেলার উত্তর আধুনগরের বেপারী পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। এর আগে একইদিন সকালে নিজের মৌরশী ও খরিদা জায়গা জোরপূর্বক দেখলচেষ্টার অভিযোগ এনে ভূক্তভোগী মো: অাতিকুর রহমান উত্তর অাধুনগরের বেপারী পাড়ার মৃত ইয়ার মোহাম্মদের পুত্র মাহামুদুল হক বাবুলের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগসূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-জমি নিযে বিবাদী মাহমুদুল হক বাবুলের সাথে বাদী আতিকুর রহমানের বিরোধ চলে অাসছিল। এরই সূত্র ধরে বিগত কিছুদিন ধরে বাদীর মৌরষী ও খরিদা সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছিল বাবুল। তাই দীর্ঘদিন ভোগদখলীয় জায়গা রক্ষা করতে লোহাগাড়া সহকারী জজ অাদালতে মামলা (অপর মামলা নং- ৯৪/২০২০ইং) দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ লোহাগাড়া সহকারী জজ অাদালতের ভারপ্রাপ্ত সহকারী জজ মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল উভয় পক্ষের শুনানীশেষে গত ২৯ জুলাই উক্ত জায়গার উপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। কিন্তু অাদালতের এ নিষেধাজ্ঞার আদেশ অমান্য করে প্রতিপক্ষ মাহমুদুল হক বাবুল ৭/৮ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে গত ২ অাগষ্ট সকাল ১০টার দিকে জোরপূর্বক ঘেরাবেড়া দিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টা করে। এতে বাঁধা দিতে গেলে বিবাদী ৭/৮ জনের সন্ত্রাসী দল নিয়ে বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করত: দা, চুরি, লাঠি ও গাছের বাটাম দিয়ে মারধর করতে এগিয়ে অাসে। এদিকে, এ ঘটনার পর পরই ভুক্তভোগী আতিক একইদিন লোহাগাড়া থানায় বাবুলসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাযের করেন। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগকারী মো: অাতিকুর রহমান জানান, ঘটনারদিন মাহমুদুল হক বাবুল তার সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে অামাদের প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। অামরা কোনরকমে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করি। আমি এ ঘটনার পর পরই একইদিন বাবুলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দাযের করি। অভিযোগ পেয়ে লোহাগাড়া থানার এসআই মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিরোধীয় জায়গাতে কোন ধরনের কার্যক্রম না করতে নিষেধ করেন। কিন্তু পুলিশের এ নিষেধ ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওইদিন রাতের আঁধারেই লোকজন নিয়ে অামাদের মৌরষী ও দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় অামতলী মৌজার অারএস ২৯০ নম্বর খতিয়ানের ১২৮ নম্বর দাগ এবং বিএস ৯৯৮ নম্বর খতিয়ানের ১৮৮ নম্বর দাগের ৩০ শতক জায়গা ঘেরাবেড়া দিয়ে জবর-দখল করে। বর্তমানে প্রতিপক্ষ বাবুলের হুমকি-ধমকিতে অামিসহ পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ঘটনার বিষয়ে জানতে উত্তর অাধুনগর বেপারীপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি অভিযুক্ত মাহমুদুল হক বাবুলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অামরা বিএস খতিয়ানমূলে ১৮শতক জায়গা মসজিদ এবং মুসল্লীদের ব্যবহারের জন্য পেয়েছি। তাই মসজিদ ও কবরস্থানের পবিত্রতা রক্ষার জন্য জায়গাটি কাটাতার দিয়ে ঘেরাও করেছি । তিনি অারো বলেন, স্থানীয় রিজিয়া গং অাদালত থেকে নিষেধাজ্ঞার আদেশ এনেছে বলে একটি কাগজ দেখাচ্ছে। তবে, এ বিষয়ে অামি আদালত থেকে লিখিত কোন নোটিশ পাইনি। নোটিশ পেলে অাইনানুগভাবে জবাব দেব। এ বিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসঅাই) মাহফুজুর রহমান বলেন, অাতিকুর রহমানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং উভয় পক্ষকে বিরোধীয় জায়গায় কোন ধরণের কার্যক্রম না করার জন্য নিষেধ করা হয়েছে।











