স্কুল ছাত্রী তুহিন হত্যাকারী মুন্নার জামিন, এলাকায় ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ হাটহাজারী পৌরসদরে ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুলছাত্রী তাসনিম সুলতানা তুহিনকে (১৩) ধর্ষণের পর হত্যা ও লাশ গুমের মামলায় অভিযুক্ত হত্যাকারী মুন্নার জামিন হওয়ায় এলাকায় ক্ষোভ।


হাটহাজারী পৌরসদরে ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুলছাত্রী তাসনিম সুলতানা তুহিনকে (১৩) ধর্ষণের পর হত্যা ও লাশ গুমের মামলায় চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণের পর জামিনে বের হবে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের মাঝে যে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া সৃস্টি হয়েছে তার বহিঃ প্রকাশ পেয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে।

এর আগে ২৮ জুলাই ২০১৯ সালে রোববার বেলা ১১টর দিকে চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ শুনানি শেষে ধর্ষক ও হত্যাকারী মুন্নার জামিন হবে এমন খবর জানাজানি হলে আবারও প্রতিবাদ ও ক্ষুব্দ জনতা জেগে উঠায় জামিনে বের হতে পারেনি ঘাতক।

আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার প্রধান আসামী নরপশু ঘাতক মুন্নার ফাসির দাবী সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় জনতার। তারপরও কেন এমন ঘাতকরা জামিন পায় তা নিয়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে উপজেলা জুড়ে। এমন অপরাধীরা যদি আইনের ফাকফোক দিয়ে বের হয়ে আসে তাহলেই যেকোন বড় ধরনের অপরাধ করতে দ্বিধাবোধ করবে না এমন মতামত ব্যক্ত করেছেন সচেতন মহল।

প্রধান আসামি শাহনেওয়াজ সিরাজ ওরফে মুন্না (২২) পৌরসভা এলাকার চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মো. ইদ্রিসের ছেলে পল্লী চিকিৎসক শাহজাহান সিরাজ (৫২) পুত্র।

এর আগে এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আকির জাবেদ মামলা করেন। গত ১০ জুলাই মামলাটির চূড়ান্ত চার্জশিট আদালতের কাছে দাখিল করে ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাটহাজারী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জসিমউদ্দিন।তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতের কাছে জমা দেয়া চার্জশিটে অভিযুক্ত তিন আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য সুপারিশ করা হয়।

উল্লেখ্য গত বছর ২০১৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী পৌরসভার ফটিকা শাহজালালপাড়ার সালাম ম্যানশনের ৪র্থ তলার ভাড়া বাসায় নিয়ে স্কুলছাত্রী তাসনিম সুলতানা তুহিনকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে খুন করে শাহনেওয়াজ সিরাজ মুন্না।

পরে তুহিনের লাশ ওই ঘরের সোফার নিচে প্লাস্টিকের বস্তা ভরে গুম করে মুন্না।
ঘটনার তিন দিন পর ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পালাতে গিয়ে মুন্না পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোফার নিচ থেকে তুহিনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মুন্নার বাবা-মা পালিয়ে যায়।

বর্তমানে মামলার প্রধান আসামি শাহনেওয়াজ সিরাজ মুন্না কারাগারে থাকলেও মামলার অপর দুই আসামি মুন্নার বাবা শাহজাহান সিরাজ ও মা নিগার সুলতানা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত আছেন।