মহানগর এলাকায় অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের ১৪টি গ্রুপ সক্রিয় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকায় কৌশলে মানুষের কাছ থেকে মূল্যবান জিনিস, টাকা ও সিএনজি অটোরিকশা ছিনিয়ে নেয় তারা।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ।
গ্রেফতার ছয় জন হলো- আবু তাহের রকি (৩০), মো. সিরাজ (৫৫), মো. মোজাম্মেল হক রাসেল (২৮), কাজী নজরুল ইসলাম প্রকাশ ফয়সাল (৩০), মো. আজিজুল হক (৪৫) ও মো. রাশেদ প্রকাশ সোহেল (২৮)।
গ্রেফতার ছয় জন অজ্ঞান পার্টির সদস্য। এদের মধ্যে আবু তাহের রকি, সিরাজ ও নজরুল ইসলাম ফয়সালের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ।
গ্রেফতার ছয়জনের কাছে থেকে ছুরি, অজ্ঞান করার ওষুধ, মলম ও বিভিন্ন দ্রব্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
সিএমপির সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) নোবেল চাকমা বলেন, গ্রেফতার ছয়জন অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তারা সাধারণ মানুষকে কৌশল করে অজ্ঞান করে। পরে তার জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। তারা সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাইও করে। সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাই করে মালিকের কাছ থেকে টাকা আদায় করে। কোনো মালিকের কাছ থেকে টাকা আদায়ে ব্যর্থ হলে সিএনজি অটোরিকশা বিক্রি করে দেয়।
তিনি বলেন, তারা সংঘবদ্ধ চক্র। চক্রটির সদস্যরা একেকজন এক একটি ভূমিকা রাখে। কেউ ছিনতাই করে, কেউ তা নিজ হেফাজতে রাখে, আবার কেউ মূল মালিকের কাছ থেকে টাকা আদায় করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোমিনুল হাসান বলেন, ২০ জুলাই সার্সন রোডের মাউন্ট হাসপাতালের সামনে থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাই হয়। ওই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে বিশাল এ চক্রের সন্ধান পাই। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এ চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।











