বিকাশের দোকানে ইয়াবা

অমর দাশকে (৪৫) সবাই চেনেন বিকাশের দোকানদার হিসেবে। বেশ কয়েক বছর ধরে করে আসছেন বিকাশের দোকান।
কিন্তু গত সাত বছর ধরে বিকাশের ব্যবসার আড়ালে করে আসছেন ইয়াবার ব্যবসা। ইয়াবার টাকা লেনদেনের সুবিধার জন্যই বেছে নিয়েছিলেন বিকাশের ব্যবসাকে।

এর আগে একবার পুলিশের হাতে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হলেও এতদিন ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। অবশেষে ধরা পড়েছেন ডবলমুরিং থানা পুলিশের হাতে। এক সহযোগীসহ ডবলমুরিং থানাধীন রেলওয়ের কদমতলী সংকেত কারখানার সামনে থেকে ৮ হাজার পিস ইয়াবাসহ তাদের গ্রেফতার করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।

গ্রেফতার অমর দাশ কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন জাফরগঞ্জ মনীন্দ্র দাশের ছেলে। তিনি নগরের সদরঘাট থানাধীন নালাপাড়া এলাকায় বসবাস করে আসছেন। তার সহযোগী অলি উল্লাহ (৩৮) চাদপুর জেলার সদর থানাধীন বাঁশগাড়িচর এলাকার ছিদ্দিক খালাসীর ছেলে।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ বলেন, রেলওয়ের কদমতলী সংকেত কারখানার সামনে থেকে ৮ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এএএম হুমায়ুন কবির বলেন, ইয়াবাসহ গ্রেফতার অমর দাশ বিকাশের ব্যবসার আড়ালে এতদিন ইয়াবা ব্যবসা করতেন বলে জানতে পেরেছি। তিনি রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় পাইকারি ইয়াবা সরবরাহ করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। ইয়াবার টাকা লেনদেনের সুবিধার জন্য বিকাশের দোকান দেন।

এএএম হুমায়ুন কবির বলেন, গ্রেফতারের পর অমর দাশ জানিয়েছেন, সাতকানিয়ার নাজিম ও আহাদ নামে দুইজনের কাছ থেকে তিনি ইয়াবা সংগ্রহ করে পাইকারি দামে বিভিন্নজনের কাছে বিক্রি করেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, অমর দাশ ক্রেতার কাছে ইয়াবা পৌঁছানোর জন্য বেশ কয়েকজন বাহককে ব্যবহার করেন। এদের মধ্যে অলি উল্লাহ একজন। তিনিও অমর দাশের সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন।

ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অর্নব বড়ুয়া বলেন, অমর দাশকে সবাই বিকাশের দোকানদার হিসেবে চেনেন। মূলত বিকাশের দোকানের আড়ালে গত সাত বছর ধরে ইয়াবার ব্যবসা করে আসছেন। তিনি এর আগে ২০১৮ সালে কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া মাদক মামলার আসামি।

এসআই অর্নব বড়ুয়া বলেন, গ্রেফতারের সময় অমর দাশের কাছ থেকে একটি মোবাইল ও নগদ ৭৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে অমর দাশের দেওয়া তথ্যে তার বাসা থেকে একটি ল্যাপটপ, আরও ৯টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আসামিদের দুইদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন।