নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই
কোরবানের ঈদ এলেই কামাররা ব্যস্ত সময় পার করতো। দা,ছুরি,বটিসহ বিভিন্ন লৌহা জাতীয় জিনিস তৈরিতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় কাটাতো কামাররা। কিন্ত এবার বিশ্ব ব্যাপী করোনা ভাইরাসের ফলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দেশের ব্যবসা- বাণিজ্যে। সেই প্রভাব পড়েছে কাপ্তাইয়ের ব্যবসায়িক প্রানকেন্দ্র নতুন বাজারে। প্রতিবছর এই বাজার সংলগ্ন আনন্দ মেলা মাঠে বসতো বিশাল গরু ছাগলের হাট। কাপ্তাই, রাঙ্গুনীয়া, বিলাইছড়ি হতে ক্রেতা বিক্রেতাদের সরগমে মুখরিত হতো এই হাট। এর প্রভাব পড়তো কামারের দোকানেও। এবছর বেচাবিক্রি কম থাকায় কাজ কমেছে কামারের দোকানে।ফলে কাপ্তাইয়ের কামাররা বর্তমানে কর্মহীন অলস সময় কাটাচ্ছে।
শনিবার নতুনবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, কামাররা অলস বসে সময় পার করছে। কামার আরিফ জানান,আগের বছরে কোরবানি ঈদের ১৫ দিন আগে থেকে দিন-রাত নতুন দা,ছুরি,বটি তৈরি এবং শান দিতে ব্যস্ত সময় পার করতে হতো। দিনে আয় হতো ৩ -৪ হাজার টাকা। আর এখন করোনা ভাইরাসের কারণে কোন কাজ নেই। দিনে ৩-৪শ’ টাকা আয় করতে পারিনা। লোকজন আগের মত আর দা,ছুরি,বটি নিয়ে আসেনা এবং অর্ডারও দেয়না। তাই কাজ নেই, ব্যস্ততাও নেই। এ অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করতে হচ্ছে।
নতুন বাজার ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: একরামুল হক জানান, করোনা ভাইরাসের ফলে এবার বহু মানুষ কোরবানী দিতে পারছে না। পশুর হাটও আগের মতো জমে উঠছে না। ফলে বেচা বিক্রিও নেই হাটে। যে কারণে কামারদের এখানে লৌহ জাতীয় জিনিস তৈরি এবং বিক্রিতে ভাটা পড়েছে ।
এই শিল্পের সাথে জড়িত কামাররা সরকারের নিকট আবেদন করছে, অন্তত এবছর তাদেরকে আর্থিক প্রনোদনা দিয়ে হলেও এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা হউক।