ফাঁদে পা খোয়ান লাখ লাখ টাকা

কয়েকজন সদস্যের একটি চক্র। এদের প্রধান কাজ বিভিন্ন স্বাবলম্বী মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা। পরে সুযোগ বুঝে লোভ দেখিয়ে কিংস প্লেয়ার নামে একটি জুয়া খেলায় প্রলুব্ধ করে। যখন টার্গেট হওয়া ব্যক্তি এ ফাঁদে পা দেন তখনই তিনি তাদের হাতে খোয়ান লাখ লাখ টাকা।

এমন একটি প্রতারক চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়া এক ব্যক্তি বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশকে জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করে।

আটক ব্যক্তির নাম মো. ফয়েজ (৬০)। তিনি নোয়াখালী জেলার কবিরহাট থানাধীন শ্রীনন্দী এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে জানিয়েছে পুলিশ।

কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, কিংস প্লেয়ার নামে জুয়া খেলার নামে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের দায়ে একজনকে আটক করা হয়েছে। প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।

কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজল দাশ বলেন, আসামিরা মূলত তিন কার্ডের কিংস প্লেয়ার নামে একটি জুয়া খেলার মাধ্যমে লোভ দেখায় টার্গেট ব্যক্তিদের। এ চক্রের সদস্যরা দুইটি ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করে। তারা ভিকটিমের সঙ্গে আপন সেজে তাকে খেলায় সহযোগিতার প্রলোভন দেখায়।

তিনি বলেন, টার্গেট ব্যক্তিকে খেলায় বড় অংকের টাকা পেয়েছে বলে জানিয়ে সে টাকা পেতে হলে সম পরিমাণ টাকা তার কাছে থাকতে হবে বলে জানায়। তখন ভিকটিম লোভে পড়ে সে টাকা নিয়ে আসলে প্রতারক চক্রের হাতে টাকা খোয়ান।

সজল দাশ জানান, প্রতারক চক্রের সদস্য হাজি মনসুর বিদেশে ছিলেন অনেকদিন। সেখান থেকে এ প্রতারণার খেলা আয়ত্ত করে দেশে এসে একটি চক্র গড়ে তোলেন।

এসআই সজল দাশ জানান, সম্প্রতি এক ব্যবসায়ীকে এ খেলার প্রলোভন দেখায় প্রতারক চক্রের সদস্যরা। ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে খেলায় অংশগ্রহণ করে ওই ব্যবসায়ী ২৫ লাখ টাকা জিতেছেন বলে প্রতারক চক্রের সদস্যরা জানান। সেই টাকা পেতে হলে আরও ১ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানায় তারা। তখন ওই ব্যবসায়ীর সন্দেহ হলে তিনি পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে আটক করে।

তিনি জানান, এর আগে একাধিক ব্যক্তি তাদের কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছে। তারা থানায় মৌখিক অভিযোগ করলেও আসামিদের শনাক্ত করা যায়নি। প্রতারক চক্রের পলাতক সদস্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।