তিনটি অস্থায়ী পশুরহাট বসানোর সিদ্ধান্তে সিএমপির আপত্তি

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে নগরের বেশ কয়েকটি জায়গায় কোরবানির অস্থায়ী পশুরহাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এর মধ্যে তিন জায়গায় অস্থায়ী পশুরহাট বসানোর সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সিএমপি তিন জায়গায় পশুরহাট না বসানোর জন্য চসিকের কাছে অনুরোধও করেছে। সিএমপির সিটি এসবি শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও চসিককে পাঠানো হয়েছে বলে সিএমপি সূত্রে জানা গেছে।

তিন পশুরহাট হলো- স্টিল মিল বাজার, পতেঙ্গা সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ (কাটগড়) ও নিউমুরিং আবাসিক এলাকা (বড়পোল)।

এই তিন জায়গায় পশুরহাট বসালে কী কী প্রতিবন্ধকতা বা সমস্যার সৃষ্টি হয় তাও উল্লেখ করা হয়েছে সিএমপির চিঠিতে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্টিল মিল বাজারটি মূল সড়কের উপরে ও পতেঙ্গা সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাজার বসার কথা থাকলে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় মূল সড়কে চলে আসে।

স্টিল মিল ও কাটগড় এলাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে। উন্নয়ন কাজের কারণে সড়কের অর্ধেক অংশ টিন দিয়ে ঘেরাও দেওয়া হয়েছে। বাকি অংশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। যদি এখানে পশুরহাট বসানো হয় তাহলে যানবাহন চলাচলের কোনো রাস্তা সচল থাকবে না। এতে যানজটের সৃষ্টি হবে।

নিউমুরিং আবাসিক এলাকায় (বড়পোল) যে মাঠ রয়েছে তাতে কোরবানির পশুরহাট বসানোর জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই। মাঠের এক তৃতীয়াংশ জায়গায় রয়েছে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য কাজ করা সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার্স কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের স্থাপনা। এছাড়া ওই মাঠে পশু রাখার জন্য যা জায়গা আছে তা পর্যাপ্ত নয়। গাড়িতে করে পশু এনে নামানোর জায়গাও নেই।

এসব কিছু বিবেচনায় না এনে সেখানে যদি পশুরহাট ইজারা দেওয়া হয় তাহলে ভোগান্তির সৃষ্টি হবে। এসব বাজানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাও কষ্টকর হবে।

সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) মোহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিক বলেন, তিনটি জায়গায় পশুরহাট না বসাতে অনুরোধ জানিয়ে সিটি করপোরেশনকে সিএমপির পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিন জায়গায় পশুরহাটের জন্য পর্যাপ্ত স্থান না থাকায় ও নানা বিষয় বিবেচনায় এনে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে যাতে জনগণ ভোগান্তিতে না পড়েন।