প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীর সর্বনাশ

লিটন কুতুবী:
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের ফাঁেদ ফেলে এক তরুণীর সর্বনাশ করেছে এক যুবক। করোনা ভাইরাসে মানুষ ঘরবন্দি থাকায় এ সুযোগে কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে সর্বনাশ করেছে।
এ খবর এলাকায় প্রকাশ হলে সরল মনের যুবতীকে বিশ্বাস জমানোর জন্য যুবকের ঘরে নিয়ে যায়। যুবকের মা বাপ যুবতীকে মেনে না নেয়ায় পূর্নরায় মেয়ের বাড়িতে রেখে যুবক পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে কুতুবদিয়া দ্বীপের লেমশীখালী ইউনিয়নের জাইল্যা পাড়া গ্রামে।
ঘটনার সূত্রে জানা গেছে, কুতুবদিয়া দ্বীপের লেমশীখালী ইউনিয়নের জাইল্যা পাড়া গ্রামের মৃত ফযেজ আহমদের ছেলে মোঃ ফারুক (২৩) একই এলাকার মোঃ ইসমাইলের কন্যা (ছদ্ম নাম) মুন্নি (১৬)কে বিগত ৪ মাস ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে।
গত ৩জুন মুন্নি ফুফু শফিকা বেগম চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায়। রাতে ফুফির ঘর দেখার জন্য মুন্নিকে বাড়িতে রেখে যায়। এ সুযোগে মোঃ ফারুক ৩জুন রাত ১১টায় প্রেমিকা মুন্নির সন্ধানে যোগাযোগ করে ফুফু শফিকা বেগমের বাড়িতে গিয়ে মুন্নির ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে পাশ^বর্তী লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে উভয়কে আটক করে রাখে। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা সমাধান করার চেষ্টা করে।
গত ৫ জুন মুন্নি রাত ৮টায় পাশ^বর্তী টিউবওয়েলে খাওয়ার পানি আনার জন্য গেলে ওখানেও মুন্নিকে উত্ত্যক্ত করে।
বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ আকতার হোছাইনকে মুন্নির মা ওয়ারেছা বেগম অবহিত করলে বিষয়টি চেয়ারম্যান মিমাংসা করার কথা বলে। পরক্ষণে যুবক ফারুক মিমাংসার জন্য বৈঠকে আসেনি। নিরুপায় হয়ে যুবতী মুন্নির মা ওয়ারেছা বেগম বাদি হয়ে গত ১৫জুন কুতুবদিয়া থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয়ে খবরা খবর নিচ্ছেন।
স্থানীয় লেমশীখালী ইউপির চেয়ারম্যান আলহাজ আকতার হোছাইনের সাথে কথা হলে ঘটনার বিষয়টি সত্যতা শিকার করেন।
এ ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত ফারুকের সাথে কথা বলার জন্য তার মোবাইল ০১৬২৯৭৪৩২৩৩ নাম্বারে একাধিকবার রিং দিয়ে নাম্বার বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।