পেকুয়া প্রতিনিধি
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউপিতে বাড়ির দেয়াল চাপা পড়ে আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ভাই-বোন।
বৃহষ্পতিবার (১৮জুন) দুপুরে বাড়ির ধ্বসে পড়ে গুরুতর আহত হয় গিয়াস উদ্দিন (২৭) ও মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ইয়াসমিন আক্তার (১৫)।
আহতেরা মগনামা ইউপির মরিচ্যাদিয়া এলাকার কৃষক আজিজুর ছেলে ও মেয়ে।
ঘটনাটি জানার সাথে সাথে স্থানীয় চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতেরকে উদ্ধার করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তাৎক্ষনিকভাবে চিকিৎসা সহায়তার জন্য ১০ হাজার টাকার নগদ অর্থ প্রদান করেন।
মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি তাৎক্ষনিক স্কুল ছাত্রীর জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত দুই দিন টানা বর্ষনে মগনামার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। প্রবল বর্ষণে ওইদিন আজিজুর রহমানের মাটি দেয়ালের বাড়ি পানিতে নিমজ্জিত হয়। দুপুরে হঠাৎ মাটির দেয়াল ধ্বসে পড়ে।
ওই সময় বাড়ির বাকি সদস্যরা বাড়ির বাহিরে থাকিলেও স্কুল ছাত্রী ইয়াসমিন ও তার ভাই গিয়াস উদ্দিন বাড়িতে অবস্থান করছিল। বাড়ির দেয়ার ধ্বসে পড়ে পুরো বাড়ি লন্ডভন্ড হওয়ার পাশাপাশি মাটি চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয় তারা। এরপর তাদেরকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাৎক্ষনিকভাবে স্থানীয় চেয়ারম্যান নগদ অর্থ সহায়তা দিলেও এখন আর্থিক অভাবে দিনাপাত করছেন। এছাড়াও বাড়ির বাকি সদস্যরা খুলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ছুটে গিয়ে আহত দুইজনকে হাসপাতালে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করি। স্কুল ছাত্রীর কোমর ও মেরুদন্ড ভেঙ্গে গেছে। চিকিৎসার জন্য আমি কিছু অর্থ সহায়তা দিয়েছি। মেয়েটি বর্তমানে চমেক হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তার বড় ধরনের অপারেশন করাতে হবে। অনেক ব্যয়বহুল চিকিৎসা।
তিনি আরো বলেন, আজিজুর রহমান অসহায় ও দরিদ্র লোক। কামলার কাজ করে কোন রকম সংসার চালায়। তার পক্ষে এত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে পড়বে। এলাকার বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে ছাত্রীটি আবার সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবে।
আমি এ ব্যাপারে অসহায় পরিবারটির চিকিৎসা সহায়তার জন্য এলাকার বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য আহবান করছি। মানুষ মানুষের জন্য। জীবন জীবনের জন্য। সবাই একটু আন্তরিক হলে মেয়েটির চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হবেনা। ফিরিয়ে পাবে সুস্থ জীবন। হাসি মুখে করতে পারবে পড়া লেখা।