হতাশ মোবাইল ফোন অপারেটররা ৪ দাবি দিয়েছে

নতুন বাজেটে দাবি-দাওয়ার কিছু না পেয়ে উল্টো আরোপে হতাশ মোবাইল ফোন অপারেটররা ৪ দাবি দিয়েছে।

মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে এই দাবির কথা জানান অপারেটরগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, মোবাইল সেবায় অতিরিক্ত ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার। অপারেটররা বলছে এই শুল্ক কেবল গ্রাহকদের ব্যয়ই বাড়িয়ে তুলবে না বরং সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পে সকলের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ডিজিটাল সেবাদানের স্ববিরোধী।

ভ্যাট আপিলের আগে ৫০ শতাংশ প্রদানের বিষয়টি প্রত্যাহার । অপারেটরদের বক্তব্য, ভ্যাট কর্তৃপক্ষ বেশিরভাগ সময় নির্বিচারে বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করে যার জন্য তাদের আপিল প্রক্রিয়ায় যেতে হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের রায় পেতে কখনও কখনও দশকেরও বেশি সময় লেগে যায়। এ অবস্থা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ব্যবসা চালাতে আর্থিকভাবে অক্ষম করে তুলতে পারে। আবার বিধিতে এমন কোনও ধারা নেই যে বিচার বিভাগীয় প্রক্রিয়া শেষে সংস্থা তার পক্ষে রায় পেলে সরকার সুদসহ অর্থ ফেরত দেবে।

ন্যূনতম করের হার তুলে দেয়া। এখানে অপারেটরদের কথা, খাত সংশ্লিষ্ট করারোপের ক্ষেত্রে যথাযথ যুক্তির অভাব রয়েছে। মোবাইল যোগাযোগ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখে। অথচ সমাজে নেতিবাচক প্রভাব রাখে এমন প্রতিষ্ঠানের তুলনায় মোবাইল অপারেটরদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম করের হার দ্বিগুণ। তা ছাড়া মুনাফা অর্জনের জন্য লড়াই করছে এমন ধরনের কোম্পনির জন্য এই কর প্রতিযোগিতার শক্তি হ্রাস করে, ব্যবসা সম্প্রসারণে বাধা সৃষ্টি করে এবং বৈদেশিক বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

কর্পোরেট করের হার কমানো। অপারেটরদের বক্তব্য যে, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মোবাইল অপারেটরের জন্য কর্পোরেট আয়কর হার ৪০ শতাংশ এবং তালিকাভুক্ত নয় এমন অপারেটরগুলির জন্য তাদের লাভের ৪৫ শতাংশ কর বিদ্যমান। তালিকাভুক্ত নয় এমন মোবাইল অপারেটরের এই হার দেশের অন্যান্য যেকোনো খাতের চেয়ে বেশি এবং সিগারেট কোম্পানির সঙ্গে তুলনীয়। তারপরও এই বাজেটে সরকার কিছু কিছু তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির কর্পোরেট করের হার কমালেও মোবাইল অপারেটরদের জন্য কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি।

মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটব আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন এমটব সেক্রেটারি জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফরহাদ (অবঃ), রবি আজিয়াটার চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম, গ্রামীণফোনের হেড অব পাবলিক অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত এবং বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার তাইমুর রহমান।