‘মাদকের কলঙ্কের দাগ চিরতরে মুছে ফেলতে মোমবাতিতে ভোট দিন’

মাদক মুক্ত আনোয়ারা গড়ার প্রত্যয়ে চট্টগ্রাম-১৩ আনোয়ারা-কর্ণফুলী আসনে ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও দলের মহাসচিব মাওলানা এম এ মতিনের মোমবাতি প্রতীকের সমর্থনে রায়পুর ইউনিয়নে ব্যাপক গণসংযোগ হয়েছে।

আজ ২৬ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনা ৩নং রায়পুর ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে ইউনিয়নের রায়পুর ওয়াহেদ আলী চৌধুরী হাট, চুন্নাপাড়া, উত্তর পরুয়া পাড়া, দক্ষিণ পরুয়া পাড়া, রাহাত্তারপুল, হাজির পাড়া, খোর্দ্দ গহিরা, পশ্চিম রায়পুর গ্রামসহ ইউনিয়ন জুড়ে গণসংযোগ, সাইকেল র‌্যালি, মোমবাতির প্রচারপত্র বিতরণ ও রায়পুর গাউছিয়া মাদ্রাসা মাঠে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

ইসলামী ফ্রন্ট রায়পুর ইউনিয়ন সভাপতি হাফেজ নুরুল আলমের সভাপতিত্বে পথসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, আনোয়ারা উপজেলা ইসলামী ফ্রন্ট সভাপতি কাযী মাওলানা বদরুজ্জামান নঈমী। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রসেনার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম। ইউনিয়ন ইসলামী ফ্রন্ট সেক্রেটারি শায়ের এনামুল হকের পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন, ইসলামী ফ্রন্ট সহ-সভাপতি হাফেয মুহাম্মদ ইলিয়াছ, হাফেয মুহাম্মদ ইউসুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাদা কামরুল ইসলাম, আবদুর রহিম, উপজেলা যুবসেনা সভাপতি নুরুল করিম, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মুনিরুল ইসলাম, ইউপি সভাপতি হাফেয আহমদ নূর, সেক্রেটারি শফিকুল আলম, হাফেজ ইকবাল, আবদুল মাবুদ, মো: এরশাদ, ইউনিয়ন ছাত্রসেনা সভাপতি মঈনুদ্দীন, সেক্রেটারি নেজাম উদ্দীন, আবদুল কাদেরসহ ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনার উপজেলা ও ইউনিয়ন শাখার নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথি কাযী মাওলানা বদরুজ্জামান নঈমী বলেন, আনোয়ারার সবচেয়ে বড় সমস্যা মাদক। ইয়াবা, মদসহ বিভিন্ন ধরণের মাদকাসক্ত হয়ে যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে অনাচার-ব্যভিচার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থা পরিবর্তন করতে প্রয়োজন আদর্শিক জাগরণ। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট অহিংস সূফিবাদী নৈতিকতা সম্পন্ন আদর্শ সমাজ গড়তে বদ্ধ পরিকর। তাই মাদক মুক্ত আনোয়ারা গড়তে ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি মাওলানা এম এ মতিনকে আলোর প্রতীক মোমবাতিতে ভোট দিন।

প্রধান বক্তা মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও জাতি যেন পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দী। ক্ষমতার পালা বদল হলেও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের সাইনবোর্ড থাকলে, উন্নয়নের চিহ্ন অদৃশ্য। আজও দক্ষিণ চট্টগ্রামে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ হয় নি। হয়নি উপকূলীয় অঞ্চল আনোয়ারা রায়পুর রক্ষার জন্য টেকসই বেঁড়ীবাধ বা অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এ ব্যর্থতা শুধু ঐসব অযোগ্য নেতাদের নয়, আমাদেরও। আমরা যারা তাদেরকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছি, আমাদের সবার দায় আছে। এবার সময় হয়েছে দায় মুক্তির, সময় হয়েছে নিজেদের ভাগ্য গড়ার। শিক্ষিত ও যোগ্য প্রার্থী মাওলানা এম এ মতিনকে যদি আমরা নির্বাচিত করতে না পারি, এম এ মতিনের কিছু হবে না। কিন্তু আমাদের কপালে যে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদকের কলঙ্কের দাগ সৃষ্টি হয়েছে, তা কখনো মুছবে না। তাই সময় থাকতে যোগ্য দেখে পক্ষ নিন, মোমবাতিতে ভোট দিন।