লিটন কুতুবী:
কুতুবদিয়ায় নারী উত্ত্যক্ত কাজে বাঁধা দেয়ায় এক নারীসহ মারধরে আহত হয়েছে চার জন। আহতরা হলেন, কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নের তহলিপাড়ার ৭ নং কিল্লা এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ছৈয়দ নুর (৩২) একই এলাকার হাছান শরীফের ছেলে হারুন (২৫) মনছুর আলমের ছেলে মাদরাসা ছাত্রী জান্নাতুল নাইমা (১৫) মৃত বশির আহমদের ছেলে মোঃ শরীফ (৬৫)। আহতদের কুতুবদিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তন্মধ্যে আহত মোঃ শরীফের অবস্থা আশংকাজনক দেখে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক(১৪জুন) রাত ৮টায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
রবিবার (১৪জুন) দুপুরে তহলী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকালে তহলীপাড়া এলাকায় পূর্বের দায়েরকৃত কুতুবদিয়া থানার মামলা নং-০৫ ও জিআর নং ৫০/২০২০ মামলার তদন্তে যায় কুতুবদিয়া থানার এসআই আমির হোসেন। এ সময় বাদির পক্ষের লোকজন বাড়িতে ছিল না। কেবল জান্নাতুল নাইমা বাড়িতে ছিল।
প্রতিপক্ষ আবদু শুক্কুরের ছেলে জিহাদ, জোবাইদ,তারেক,হাবিবুর রহমান মিলে নাইমাকে ঘরে একলা পেয়ে শারিরিক নির্যাতন ও শ্লীলতাহানি করে। এ খবর পেয়ে নাইমার চাচাত ভাই ছৈয়দ নুর উদ্ধার করতে গেলে তাকে কিরিচ দিয়ে মাথায় আঘাত করলে গেলে হারুনকে মারধর করে গুরুতর জখম করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসআই আমির হোসেন ও প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করে কুতুবদিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রবিবার রাত ৭টায় আহত ও প্রতিপক্ষদের মধ্যে পূনরায় কুতুবদিয়া হাসপাতাল গেইটে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় প্রতিপক্ষ মোঃ শরীফ (৬৫) নামের ব্যক্তিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। প্রায় এক ঘন্টা পর উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর থানায় প্রেরণ করে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে ওসি মোঃ দিদারুল ফেরদাউস জানান।
এ ব্যাপারে আহত ছৈয়দ নুরের পিতা নুরুল আলম বাদি হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেন বলে নিশ্চিত করেন।