পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত প্রবাসী হলেন নাছির

হাটহাজারী প্রতিনিধিঃ ওমানে স্ট্রোক করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা নাছির উদ্দীনের (৫০) মরদেহ অবশেষে ১২ দিন পর গ্রামের বাড়ীতে জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

শনিবার (০৬ জুন) সকাল দশটার দিকে পর্শ্চিম মেখল ৯ নং ওর্য়াডস্থ আলী মোল্লা কাজী বাড়ী জামে মসজিদ মাঠে মরহুমের জানাযা নামাযের পর তাকে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। সূত্রে জানা গেছে, নাছির দীর্ঘদিন ধরে ওমানের ওয়াদি কবির এলাকার পাশে ওয়াইলজে নামক স্থানে গ্রিল ওয়ার্কশপে (ইস্পাত কারখানা) কর্মরত ছিলেন। গত ২৪ সকালে তিনি ওমানের সোহারে থাকা চাচাতো ভাইয়ের সাথে ফোনে কথাও বলেছিলেন। পরে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়াতে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবাসী এ রেমিট্যান্স যোদ্ধা। জানতে চাইলে নিহতের চাচাতো ভাই ওমান প্রবাসী ফরহাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মারা যাওয়ার পর নাছিরের মরদেহ ওমানের একটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছিলো। বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারনে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং দেশে নিয়ে যাবার সব প্রক্রিয়া শেষে প্রথমে ওমান থেকে কাতার এবং সেখান থেকে একটি ফ্লাইটে করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। পরে বিমানবন্দর থেকে মরহুমের মরদেহ এ্যাম্বুলেন্স যোগে গ্রামের বাড়ীতে নেয়া হলে স্বজনদের আহাজারিতে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃস্টি হয়। ২ কন্যা ও ১ সন্তানের পিতা প্রবাসী মরহুম নাছির উদ্দীন উপজেলার মেখল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডস্থ আলী মোল্লা কাজী বাড়ীর মো.শফি প্রকাশ জুনুর বড় সন্তান। মরহুমের প্রতিবেশী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোহাম্মদ নুরুন নবী নুর জানান, গত ২০ নভেম্বর ২০১৬ সালের রবিবার নিহত নাছিরের আপন ছোট ভাই ৩৫ বছর বয়সী এহসানও আরব আমিরাতে তার নিজ শয়ন কক্ষে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছিলেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ওমানে ষ্ট্রোক করে বহু প্রবাসীর মৃত্যু হচ্ছে। মরুভূমির উত্তপ্ত গরম, অতিরিক্ত মানসিক চিন্তায় এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে ধারনা করছেন বিজ্ঞ মহল।