পেকুয়ায় জামাতনেতার ভিডিও বার্তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ইউনিয়ন আ’লীগের

পেকুয়া প্রতিনিধি

কক্সবাজারের পেকুয়ায় আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল ইসলামকে বর্বরোচিতভাবে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত বারবাকিয়া ইউপি চেয়ারম্যান, জামাত নেতা বদিউল আলম জিহাদীর ভিডিও বার্তায় মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বারবাকিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ।

শনিবার (৩০মে) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে বারবাকিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হোছাইন শামা লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে জানায় যে, সর্বপ্রথম স্মরণ করি মহান রাব্বুল আলামিনকে যিনি আপনার মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন কথার উত্তর দেয়ার জন্য আজকে এখানে উপস্থিত করেছেন’গতকাল রাতে জামাত নেতা, চেয়ারম্যান বদিউল আলম ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মিথ্যাচার করেছেন। ওনি ক্ষমতার মসনদ ঠিক রাখার জন্য ভুক্তভোগী নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে তাকে আওয়ামিলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে গুজব ছড়াচ্ছে। যা সম্পূর্ণ অসত্য ও বানোয়াট।’ তিনি আরও জানান, ভিডিও বার্তায় চেয়ারম্যান বদি শুরুতেই স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু উচ্চারণ না করে মরহুম মুজিবুর রহমান বলাতেই তার জামাতী চেহারা উন্মোচিত হয়েছে।
আমার ইউনিয়ন বারাবাকিয়া ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বর্তমান আন্নর আলী পাড়া সমাজের সরদার, সমাজের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি নুরুল ইসলামকে ধর্মের দোহাই দিয়ে আল্লাহর পবিত্র ঘর মসজিদে চরম নির্যাতনের পর। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর বারবাকিয়ার চেয়ারম্যানের নির্যাতনের খবর মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে সব মহলে নিন্দার ঝড় উত্তোলিত হয় সত্যকে আড়াল করতে, আওয়ামী লীগের নিবেদিত কর্মী নুরুল ইসলামের চরিত্রহন,বারাবাকিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কে নিয়ে মিথ্যা বিভ্রান্তিকর তথ্য নিয়ে বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,জামায়াতে ইসলামী মজলিসে শুরার সদস্য, সাবেক আমীর এক সময়ের ছাত্রশিবিরের দূধর্ষ ক্যাডার, স্বাধীনতা বিরোধী মৌলভী এইচ এম বদিউল আলম জিহাদীর মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ভিডিওবার্তার জবাবের প্রতিবাদে বারবাকিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সংবাদ সম্মেলন।
আপনার  ভিডিওবার্তায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মিথ্যা বিভ্রান্তিকর তথ্য থাকলেও জীবনের শেষ মুহূর্তে এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করায় আপনাকে ধন্যবাদ, আবার এটা এভাবে হতে পারে ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য, যেমন প্রবাদে আছে ভূতের মুখে রাম রাম।
যেটা দিবালোকের মত সত্য, আপনি আল্লাহর পবিত্র ঘরে যেখানে মশা মাছি পর্যন্ত মারা নিষেধ সেই পবিত্র করে কৌশলে আওয়ামীলীগকে হেনস্থা করার জন্য ধর্মের লেবাস দিয়ে একজন মানুষকে বারবার হামলা করে গুরুতর আহত করেছেন আপনি যে কাজটা করেছেন কুরআন-হাদীস এবং অন্য  কোন পবিত্র গ্রন্থে আপনার কাজের সাপোর্ট নাই। যেটা আপনি পরিপূর্ণভাবে ধর্মদ্রোহী কাজ করেছেন, আল্লাহর পবিত্র ঘরের ইজ্জতহানি করেছেন।
আপনার সেই সত্য ঘটনাকে আড়াল করার জন্য একজন মানুষের চরিত্র হনন করে বক্তব্য দিয়েছেন যেখানে ধর্মীয় আইন ও বাংলাদেশের আইনকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন।
একজন মানুষকে যখন আদালত চুরির মামলায় চোর হিসাবে সাব্যস্ত করে তখন সে চোর হিসেবে পরিগণিত হয়, এর আগে কাউকে চোর বলা দণ্ডনীয় অপরাধ।
আপনি যাকে চোর হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন তার কোনো চুরির মামলা নাই।   নুরুল ইসলাম ২০০১সাল  সল২০১৯ পযন্ত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছে, পাশাপাশি বর্তমান
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও আন্নর আলী পাড়া সমাজের সমাজপতি,তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। আপনার বক্তব্যে প্রমাণিত একজন সম্মানিত মানুষের চরিত্র হনন করে  আপনি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা  করতেছেন। একজন চোর কখনো যুগের পর যুগ নেতৃত্ব দিতে পারে না।
সুতারং আপনার কথায় প্রমাণ হলো, আপনার কথা সত্য নয়।

নুরুল ইসলামকে চুরির অপরাধে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এ তথ্য আপনি কোথায় পেলেন, আমি একজন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বলতেছি নুরুল ইসলামকে কখনো বহিষ্কার করা হয়নি,যে বহিষ্কারের কথা আমি আওয়ামীলীগ সভাপতি হয়েও জানিনা। আপনি জামায়াতের আমির হয়ে কিভাবে আওয়ামী লীগের খবর জানলেন,,,?
আপনি একজন আলেম হয়ে কখনো আপনার মুখে অসত্য কথা মানায় না।

আপনি বলেছেন আমি ফাঁসিয়াখালী কামিল মাদ্রাসায় গভর্নিং বডির সদস্য থাকাকালে এডিসি অফিসে যে ঘটনা ঘটেছে, সেই ঘটনার রেশে আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতেছি, এটা কখনো সত্য নয়, মিটিংয়ে এজেন্ডা হয়েছে আপনি ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নিয়োগ দিবেন সেটা না করে এক্সটেনশন করে দুই বছর মেয়াদ বাড়িয়ে অতিরিক্ত খেলেন,২০১২সাল  থেকে২০১৭ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৪/৫ বছরের আয় ব্যয়ের হিসাব চাওয়া কি আমার অপরাধ ছিল?  আপনি পীর হলে হিসাব দিতে সমস্যা কোথায়, আপনি যে দুই নাম্বারি করেন এটা তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
আপনার দুই শ্যালক একসময়ের ছাত্রশিবিরের দূর্ধষ ক্যাডার সেলিম, আমানউল্লাহ,ও আপনার ছেলে সহ অজ্ঞাত নামা ৫জন মিলে  নুরুল ইসলামকে বিচারের কথা বলে মসজিদ থেকে বাহির করে চোখে কাপড় বেঁধে  অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ব্যাপক মারধর ও জোরপূর্বক খালি স্টাম্প নিয়েছেন যা দিবালোকের মতো সত্য।

বারবাকিয়া ইউনিয়নে আপনি উন্নয়নের ধস নামিয়েছেন,আজ পেকুয়া উপজেলার সবচেয়ে পিঁছিয়ে পড়া ইউনিয়ন বারবাকিয়া,আপনার এই অযোগ্যতাকে আড়াল করতে বারবার নির্বাচনের কথা এনেছেন।
এটা প্রমাণিত আপনি একজন মুখোশ ধারি,ক্ষমতার লোভে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আবারো ক্ষমতার মসনদে বসার জন্য।  আপনার এই অপ-কৌশল বারবাকিয়াবাসী জেনে গেছে।

আপনি বলেছেন আপনার পরিষদে কোন বিএনপি ও জামাত নাই আমি বেশি কিছু  বলব না, ১নং ওয়ার্ড সদস্য
ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ইউনুস, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য শাহাব উদ্দীন একজন জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও একজন গেজেট ভুক্ত রাজাকারের সন্তান আপনার পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান, আপনার কথা কতটুকু সত্য জাতি আজ ভালো করে জেনে গেছে।

আপনি বলেছেন কোন দলের নয়, এটা জাতির সাথে সবচেয়ে বড়ো প্রতারণা করেছেন, বারবাকিয়ার আপামর জনতা  জানে আপনার জীবন যৌবন কেটেছে  জামায়াতে ইসলামীর সাথে।জীবনের শেষ মুহুর্তে এসে ক্ষমতার লোভে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন বারবাকিয়াবাসী  কখনো আপনার থেকে এটা আশা করেনি।
এটাও দিবালোকের মত সত্য যে, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত স্বাধীনতা বিরোধী  রাজাকার যাদেরকে যুদ্ধ অপরাধী হিসাবে প্রমাণিত করে দন্ডিত করেছেন,যাদের ফাঁসির মাধ্যমে এই দেশ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে আপনি তাদেরকে
শহীদ বলে শহীদের মর্যাদাহানি করেছেন। কুখ্যাত রাজাকার কাদের মোল্লা, মীর কাসেম আলী, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদদের ফাঁসির পর  রাষ্ট্রীয় আইনের তোয়াক্কা না করে আপনি রাজাকারদের গায়েবি জানাযার ইমামতি করেছেন, ফাঁসিয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠ এখনো সাক্ষী আছে।আপনি একজন দেশদ্রোহী, আপনার কাছে নীতি কথা শোনা মানে লজ্জা ছাড়া আর কিছু নয়।

রাজাকার সাঈদীর রায়ের সময় আপনি হাজার হাজার শিবির ও জামাতের দুর্ধর্ষ ক্যাডার নিয়ে পেকুয়া বাজারে রাস্তা অবরোধ করছেন। পুলিশের সাথে স্বশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়েছিলেন। আপনার ক্যাডারের হাতে সেইদিন দুই জন নিরীহ মানুষ খুন হয়েছে।

আপনি মূল ইসলাম বাদ দিয়ে মওদুদীবাদী জামায়াত ইসলাম কায়েম করতে চায়।আপনি যুদ্ধাপরাধীদের শহীদ হিসেবে ফতোয়া দিয়েছে!জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে  জীবনে বঙ্গবন্ধু বলা দুরে থাক বিকৃত করে বলা অভ‍্যেস পরিবর্তন করতে পারেনি কখনো তেমনি ভিডিও বার্তায় দেউল্লা ও মইত্তা রাজাকারের মতো জাতির জনককে মরহুম বলে তার রাজাকারী চরিত্র উম্মোচন করেছেন।
আমরা অতিদ্রুত নুরুল ইসলাম কে নির্যাতনকারী রাজাকারের দোসরদের  গ্রেফতারের জোর দাবী জানাচ্ছি।

সুতারাং আওয়ামীলীগ কর্মীদের নির্যাতন করা থেকে দূরে থাকেন। অনেক হয়েছে  এবার থামেন আগুন নিয়ে খেলবেন না মনে রাখবেন আওয়ামীলীগ কর্মীদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না,সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের সংবাদ সম্মেলন শেষ করলাম। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু,বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

এসময় বারবাকিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন এবং এক থেকে নয় ওয়ার্ডের সভাপতি/সম্পাদক যথাক্রমে নুরুল কবির,আমির হোছাইন,জাহাঙ্গীর আলম মেম্বার,মঈদু রহমান,ফরিদুল আলম,মহি উদ্দিন,আলম নবী,মোঃ হোছাইন,মোকতার আহমদ,মহি উদ্দিন,আবু তাহের,নুরুল আবছার,হারুনুর রশীদ বাদশা,মোজাম্মেল হক,জাফর আলম, আবু ছৈয়দ টুকু মেম্বার,সিরাজুল ইসলাম,উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বারেক,সহসভাপতি আহমদ হোছন,ছরওয়ার মেম্বার ও আওয়ামীলীগনেতা ওছমানসহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।