কাঠুরিয়া ও জলপরী

হামীম রায়হান

এক যে ছিলো কাঠুরিয়া, /
কাঠ কাটতো বনে,/
সংসারে তার অভাব তবু-/
সুখ ছিলো তার মনে।/
লোহার একটা কুড়াল ছিলো-/
একমাত্র আশা,/
সেটার সাথে বলত কথা,/
বুঝে সেটার ভাষা।/
একদিন সে নদীর ধারে-/
কাটতে গেলো কাট,/
পড়ল কুড়াল নদীর জলে-/
ভেঙ্গে সেটার ডাঁট।/
দারুণ স্রোতে তলিয়ে গেলো-/
কুড়াল নদীর তলে,/
পাড়ে বসে ভাবে উপায়,/
ভাসে চোখের জলে।/
কী যে হবে উপায় এখন-/
পড়ল মাথায় বাজ,/
বন্ধ হবে রুটি রুজি,/
বন্ধ হবে কাজ।/
হঠাৎ উঠে ঢেউ নদীতে,/
ফুঁসে নদীর জল,/
বেরিয়ে এল একটা পরী-/
রূপে টলমল।/
সোনার কুড়াল, রূপার কুড়াল-/
দেখিয়ে বলে পরী,/
‘কোনটা তোমার নাও চিনে ভাই-/
যাবো তাড়াতাড়ি।’/
কুড়াল দেখে কাঠুরিয়া-/
বলে- ও হে পরী,/
এসব নয়তো আমার কুড়াল-/
দাও না পায়ে ধরি!/
আবার এনে লোহার কুড়াল-/
দেয় কাঠুরিয়ার হাতে,/
লোহার কুড়াল দেখে এবার-/
হয় যে খুশি তাতে।/
এই সততা দেখে খুশি-/
হয় যে পরীর চিত্ত,/
ভাবে গরিব হলেও সে-/
নয়তো লোভের ভৃত্য।/
যাওয়ার বেলা জলপরী তাই-/
দেয় যে রূপা, সোনা,/
এই উপহার পেয়ে শেষ হয়-/
তার কষ্টের দিনগুনা।/

 

হামীম রায়হান,
পটিয়া, চট্টগ্রাম