কুতুবদিয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শিবির ক্যাডার আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক,
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শিবির ক্যাডার জাহেদুল ইসলাম (২৫) পুলিশের নিকট আটক হওয়ার পর অনেকের মনে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়েছে। বেরিয়ে এসেছে থলের বিড়াল। আবার নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছে আটক জাহেদ পুলিশের নিকট। তবে পুলিশের প্যান্ট খোলে নেয়ার হুমকি বাস্তবায়ন করতে পুলিশ তার ঘরে গেলে রবিবার রাত ৯ টা হতে সোমবার ভোর ৫টায় পর্যন্ত ৮ ঘন্টা অপমান পূর্বক ঘরের দরজা না খোলে দাড় করিয়ে রাখে বাইরে। পুলিশ তাকে দরজা খোলার জন্য অনেকবার অনুরোধ করে চেষ্টায় ব্যর্থ হয়।
পুলিশ শিবির ক্যাডারের বাড়ি ঘিরে ফেললে ফোন এবং লাইভে তার বন্ধুমহল ও কুতুবদিয়ার ই্উএনও ,এসিল্যান্ডকে অবহিত করে। এ সব কর্তারা রাত ১২টায় তার কথা মতে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করতে গেলে ঘটনা বিপরীত মুখী রূপ নেয়। তখনই সে অসহায় হয়ে সোমবার ভোর ৫টায় পুলিশের নিকট আত্নসমর্পন করে।
দীর্ঘ আট ঘন্টা সুযোগে তার মোবাইল থেকে অনেক গোপন তথ্য অর্থাৎ রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপ, পুলিশ,সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের হয়রানিমুলক পরিকল্পনা,শিবিরের গোপন বৈঠকে নাশকতার নীল নকসার ফাইল মুছে ফেলে। তবে প্রযুক্তির মাধ্যমে মুছে ফেলা তথ্য পূনরায় উদ্ধার কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসন করোনা ভাইরাস সংক্রমন নিয়ন্ত্রনে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে। আটক শিবির ক্যাডার জাহেদ ৩০ জনের একটি দল গঠন করে ধুরুং বাজার এলাকার স্বেচ্ছাসেবক টিমের লিডার। ঐ এলাকায় ক্ষমতার অপব্যবহার, নিজস্ব ক্ষমতা, প্রশাসনের খবরদারি সব মিলিয়ে অথ্যচারের শেষ নেই। ব্যবসায়ীরা বিরক্ত হয়ে ২৫ দিন পূর্বে স্থানীয় দোকান মালিকগন তাকে গণপিটুনি দেয়। সাইবার ক্রাইম ইউনিট কক্সবাজার সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৩৯/২০২০ নং মামলা রুজু করে। পুলিশ সোমবার (১৮ মে) ভোর ৫টায় তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাকে আটক করে। তার নিজস্ব ফেইস আইডিতে রাষ্ট্রদ্রোহী, রাজনৈতিক ব্যাক্তি,পুলিশ,সাংবাদিক,সচেতন মহলের মানহানি ও আপত্তিকর লেখা রয়েছে।
আটক শিবির ক্যাডার জাহেদুল ইসলাম কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর লেমশীখালী মৌলভী মঈনুল হক কুতুবীর ছেলে। সে আল ফারুক মাদরাসার ছাত্র। লেখাপড়া অবস্থায় একটানা ৩ বছর ঐ প্রতিষ্ঠানের শিবিরের সভাপতি ছিল। তার পিতা মঈনুল হক কুতুবী কুতুবদিয়া নুরানিয়া বালিকা মাদরাসার শিক্ষক।