বাঁশখালীতে বন্যহাতি হত্যা মামলার আসামিদের অব্যহতির দাবিতে মানববন্ধন

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর জঙ্গল পাইরাংয়ে বন্যহাতি হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সরওয়ার হোসেন ও জাফর আহমদকে আসামী করার প্রতিবাদে এবং মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে স্থানীয় জনসাধারণ।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার বৈলছড়ি ইউপির হাবিবের দোকান সংলগ্ন প্রধান সড়কে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বৈলছড়ি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল, বৈলছড়ির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিকাশ দত্ত, মোজাম্মেল হক সিকদার, ইউপি সদস্য আবদুল আলীম, রফিক আহমদ, হাসান আলী লেদু, আহমদ হোসাইন, রওশন আলী, সাহাব মিয়া, ফজল করিম, নুরুল কাদের, ছাত্রনেতা মো. আরিফ প্রমুখ।

এ সময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘বাঁশখালীর জলদী পাইরাংয়ে যেই বন্যাহাতি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরওয়ার হোসেন ও জাফর আহমদকে জড়ানো হয়েছে। সরওয়ার হোসেন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য। যেদিন হাতি হত্যার ঘটনা ঘটেছে সেদিন তিনি ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার দরবারে ছিলেন। কিন্তু তাকেও মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। মূলত এই হাতি হত্যার সাথে বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা শাহ আলমরাই জড়িত। তিনি নিজেকে বাঁচাতে সরওয়ার হোসেনকে ফাঁসিয়েছেন। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে নির্দোষ সরওয়ার হোসেন ও জাফর আহমদকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। আগামী চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি না দিলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বন বিভাগের অনেক অপকর্মের ফিরিস্তি জনতার কাছে আছে৷ মানুষকে হয়রানি করলে সেই অপকর্মের শ্বেতপত্রও প্রকাশ করা হবে।’

উল্লেখ্য, গত বুধবার উপজেলার জলদী রেঞ্জের পাইরাং মনুমার ঝিরি এলাকায় বন্যহাতি হত্যার শিকার হয়। হাতিটির দাঁত ও পায়ের নখ কেটে নিয়ে গেছে শিকারিরা। পরে বৃহস্পতিবার পাইরাং বিট কর্মকর্তা আলমগীর বাদী হয়ে সরওয়ার হোসেন ও জাফর আহমদকে এজাহারনামীয় করে ১৮জনকে অজ্ঞত আসামি করা হয়।’