ঈদগাঁওয়ে ফসলী জমির টপসয়েল কেটে নিচ্ছে ভাটা মালিকরা!

সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার: কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় ফসলী জমি থেকে টপসয়েল কেটে নিচ্ছে ইটভাটা মালিকরা। রাতেই বিভিন্ন ফসলী বিলে শতাধিক ভেকু মেশিন (স্কেভেটর) দিয়ে রাতভর চলে মাটিকাটা। আবাদী জমি থেকে এভাবে টপসয়েল কেটে নেয়ায় উর্বরা শক্তি হারাচ্ছে ফসলী জমিগুলো।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ধমকা বিলের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ফসলী জমির টপসয়েল কাটা হচ্ছে। টপ সয়েল পরিবহনের জন্য বিলের বুক চিরে অস্থায়ী সড়কও তৈরী করা হয়েছে। একই ইউনিয়নের পূর্ব ফরাজীপাড়ায় টি কে ব্রিক ফিল্ডে এসব টপ সয়েল নেয়া হচ্ছে।

এলাকাবাসী জানান, ডজনাধিক ভেকু মেশিন (এক্সেভেটর) ও শতাধিক ডাম্পার নিয়ে সারারাত সমানতালে চলে এ টপসয়েল কাটা। এতে ক্ষতবিক্ষত ও বিরানভূমিতে পরিণত হয়ে হুমকির মুখে পড়েছে শষ্যভান্ডার খ্যাত ধনকা বিল।

ক্রমাগত টপসয়েল কাটার ফলে জমির উর্বরা শক্তি কমে যাওয়ায় শষ্য উৎপাদন কমে যাচ্ছে এবং এতদাঞ্চলে খাদ্য ঘাটতির আশংকা করছেন এলাকাবাসী।

এ ছাড়াও একই ইউনিয়নের পালাকাটা ও লরাবাক গ্রামের মধ্যবর্তী বিলের অন্ততঃ চার পয়েন্টে ১০/১২ টি এক্সেভেটর দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। ঈদগাঁও রাবারড্যাম রাস্তার মাথার অদুরবর্তী বিল ও পালাকাটা রেলক্রসিং এর পশ্চিমেও এক্সেভেটর দিয়ে সারারাত টপসয়েল কেটে নিচ্ছে ইটভাটা মালিকরা।
দক্ষিণ লরাবাক-মোহনবিলা সংযোগ সড়কের দু পাশের বিলে ডজনখানেক এক্সেভেটর দিয়ে টপসয়েল কাটা হচ্ছে।

ইসলামাবাদ ইউনিয়নের বোয়ালখালী বিল, ঈদগাঁও সদর ইউনিয়নের মাইজপাড়া ঝাইক্কা কাটা বিলেও চলছে একই কায়দায় মাটি লুট। কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে রাতে শক্তিশালী ফ্লাডলাইট জালিয়ে সকাল তক টপসয়েল কাটা অব্যাহত রেখেছে ইটভাটা মালিকরা।
ফসলী জমি থেকে দিনরাত কেটে নেয়া এসব টপসয়েল শত শত ডাম্পার ট্রাকযোগে বিভিন্ন ইটভাটায় নেয়া হচ্ছে। আবাদী জমি থেকে টপ সয়েল কেটে নিয়ে পর্বতাকারের স্তুপ করা হয়েছে ইটভাটাগুলোতে।

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের পরিচালক জমির উদ্দীন ফোন রিসিভ না করায় এ ব্যাপারে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে, ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর কামরুজ্জামান কবির টপসয়েল কাটা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন।