অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি পান করেন। কিন্তু কেউ কেউ খালি পেটে পান করেন কুসুম গরম পানি। নিয়মিত এ অভ্যাসে শরীরে কী পরিবর্তন হয় জানেন?
ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশানে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা বলছে, শরীরে গরম পানি খাওয়ার কোনো অপকারিতা নেই। তবে ঈষদুষ্ণ বা কুসুম গরম পানি পান করলে শরীরে মেলে অসংখ্য উপকারিতা।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে এক থেকে দুই গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে আসুন এক নজরে জেনে নিই, নিয়মিত কুসুম গরম পানি পানের উপকারিতাগুলো-
১। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক এমনকি গর্ভাবস্থাতেও এ উপকারিতা পাওয়া যায়। ডায়েটেশিয়ানদের মতে, নিয়মিত ঈষদুষ্ণ পানি খাওয়ার অভ্যাসে মেটাবলিজম (হজম শক্তি) বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়া পেট ব্যথা, গ্যাস ও অম্বলের সমস্যায় যারা ভোগেন তাদের জন্য এ অভ্যাস দারুণ উপকারী।
৩। ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ে। তাই পিরিয়ডের ব্যথায় আরাম পেতে কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন।
৪। বুকব্যথা এবং সর্দিকাশি হওয়ার শঙ্কা থাকে না। বন্ধ নাক খুলে যায়।
৫। প্রাকৃতিক উপায়ে শরীর পরিষ্কার করে বিষাক্ত টক্সিন বের করতেও ভালো কাজে আসে হালকা বা কুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস।
৬। এতে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। আপনি কি জানেন? নিয়মিত কুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাসে ত্বকে বয়সের ছাপ কিংবা বলিরেখা সহজে পড়তে পারে না।
৭। যারা দুশ্চিন্তায় ভুগছেন, ঠিক সময়ে ঘুমাতে পারেন না কিংবা মুখে ব্রণের সমস্যা কোনোভাবেই সারছে না তারা নিয়মিত কুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। একমাসেই আপনার মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।
৮। চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি কিংবা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও দারুণ কাজে আসে কুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস।
৯। মাথা ব্যথার সমস্যা, গিঁটে ব্যথাসহ শরীরের বিভিন্ন ব্যথা দূর করতে পারে নিয়মিত কুসুম গরম পানি খাওয়া অভ্যাস।
১০। শরীরের প্রতিটি স্নায়ুকে সচল রাখতে সকালে কিংবা বিকেলে অন্তত ১ গ্লাস কুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস শুরু করুন। দিনে ২ গ্লাস কুসুম গরম পানি পানের অভ্যাস জীবনে দ্রুত ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।











