শফিউল আলম, রাউজান ঃ চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গ্রাম-গঞ্জ থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী সুগন্ধি ধান ‘কালোজিরা’। আধুনিক ও উচ্চফলনশীল ধানের দাপটে এই ধান এখন বিলুপ্তির পথে। তবে আশার কথা হলো, স্থানীয় কিছু উৎসাহী কৃষক বিচ্ছিন্নভাবে হলেও এখনো এই ধানের চাষ টিকিয়ে রেখেছেন। সাধারণ ধানের চেয়ে দাম বেশি হওয়ায় আমন ধানের সঙ্গে মিশ্রভাবে তারা এই ধান চাষ করছেন।সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গ্রামাঞ্চলের মাঠজুড়ে এখন সোনালি ধানের সমারোহ। এরই মাঝে বাতাসে দোল খাচ্ছে কালোজিরা ধানের কৃষ্ণবর্ণের শীষ। দূর থেকে দেখলে মনে হয়,সোনালি রঙের ক্যানভাসে কালো রঙের ছায়া। এই ধানের সুগন্ধি চাল দিয়ে পোলাও, বিরিয়ানি, খিচুড়ি, পায়েস, ফিরনি ও জর্দাসহ নানা মুখরোচক খাবার তৈরি করা হয়। আগে উৎসব-পার্বণে এই চালের কদর থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার অভাবে এখন তা অনেকটাই স্মৃতির পাতায় চলে যাচ্ছে।

বীজ সংকটের কারণে ইচ্ছে থাকলেও অনেক কৃষক এই ধান চাষ করতে পারছেন না। উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের শীরনী বটতল গ্রামের কৃষক আবদুল হাকিম বলেন, ‘পাশের উপজেলার এক কৃষকের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে এবার আমন ধানের সঙ্গে ৪শত জমিতে কালোজিরা ধান চাষ করেছি। সাধারণ ধানের চেয়ে এর ফলন কিছুটা কম হলেও দাম অনেক বেশি। প্রতি কেজি চাল ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। আশা করছি ৪ শতক জমি থেকে ২মন থেকে আড়াই মন ধান পাব।’ সুগন্ধি ধান ‘কালোজিরা ধানের চাউল পরিবারের সদস্যরা খাব ও আত্বিয় স্বজনদের বাড়ীতে উপহার পাঠাব।
রাউজান উপজেলা কৃষ অফিসার মাসুম কবির বলেন, আমন ধানের চাষাবাদের সময়ে রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় হেক্টর জমিতে কালোজিরা ধানের চাষাবাদ করেছে কৃষকরা। পাশাপাশি ১০ হেক্টর জমিতে চিনিগুড়া, বাসমতি ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। ২০ হেক্টর জমিতে বিনি ধানের চাষাবাদ করেছে কৃষকরা। কালোজিরা, চিনিগুড়া, বাসমতি, বিণিধানের চাষাবাদ টিকিয়ে রাখতে কৃষকদের উৎসাহিত করছে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর। কালোজিরা, চিনিগুড়া, বাসমতি, বিণিধান ফলন কম হওয়ায় কৃষকরা আবাদ করতে ইচ্ছুক নয়।








