ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি।
কক্সবাজারের স্থানীয় ফেসবুক পেইজ নগর কক্সবাজারে “গোমাতলীতে আওয়ামী লীগ নেতার,অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন, বেড়িবাঁধ কেটে কালভার্ট নির্মাণের অভিযোগ, ঝুঁকিতে গোমাতলীর উপকূলীয় এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা !” শিরোনামে ভিডিও নিউজ টি একটি ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নই বলে দাবী করেছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার ও পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
তিনি সম্প্রতি তাঁর ফেসবুক (সাইফ উদ্দীন) এ সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও ব্যখা দিয়েছেন। যা হুবুহু তুলে ধরা হলোঃ
সম্মানিত এলাকাবাসি, এফবি বন্ধু এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ আপনারা সকলেই ইতিমধ্যে “নগর কক্সবাজার নামক এক ফেসবুক নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে আমার নামে মিথ্যা,ভিত্তিহীন উদ্দ্যেশ্যপ্রনোদিত ষড়যন্ত্রমূলক একটি নিউজ নিশ্চয় দেখেছেন।
জনৈক আবুল কালাম, আমি ও আমার শাশুর বাড়ীর সকলকে আসামি করে মাননীয় জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালত ঈদগাঁও তে একটি ষড়যন্ত্র মূলক মামলা দাখিল করেছেন। যার মামলা নং-সি.আর ৪৪৭/২৪।
উক্ত মামলায় ক্রয়সূত্রে দাগ নং- ১৯৩৭-এ ৬২ শতক ও ১৯৭৩-এ ৪২ শতক জমি দাবি করেন। ১৯৩৭ দাগে মোট জমির পরিমাণ -১২.৫৯ একর এবং ১৯৭৩ দাগে মোট জমির পরিমাণ -৩.৮৪ একর। যার মধ্যে আমাদের জমির পরিমাণ ১৯৩৭ দাগে- ১.৮২ একর পক্ষান্তরে (আমাদের দখলে-১.২০ একর) এবং ১৯৭৩ দাগে-০.৭৫৫১ একর (আমাদের দখলে-০.৪০ একর)।যেখানে আমাদের জায়গা বেদখল, সেখানে ওনার জায়গা দখলের কোন প্রশ্নই আসেনা। তিনি মূলতঃ আমার ও আমার পরিবারের নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
অন্যদিকে গোমাতলী সমবায় কৃষি ও মোেহাজের উপনিবেশ সমিতির (বায়ুবিয়) কমিটি বলে যারা বক্তব্য দিচ্ছেন, তাদের বৈধতা নিয়ে চ্যালেন্জ করাতে তারা আমার বিপক্ষে লেজ নাড়ছেন। সমিতিতে বর্তমানে দুটি কমিটি রয়েছে মর্মে দাবী করছে। এসব কারনে আমাদের সাধারণ সদস্যদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
ইতিপূর্বে সমিতির সকল সদস্যগণের উপস্থিতিতে দুই বিতর্কিত কমিটিকে বাদ দিয়ে আমাকে (সাইফ উদ্দিন) আহ্বায়ক করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিরোধ নিস্পপ্তি ও মৎস্য প্রজেক্ট ইজারা উপকমিটি গঠন করে। উক্ত উপকমিটিতে বিতর্কিত দু’কমিটির সদস্যগণও রয়েছে ।
গত ১০ মার্চ ২৫ ইং উক্ত উপকমিটির সদস্য নুরুল হুদা, আবদুল হক গুরামিয়া, আব্দুল মাবুদ, ওবাইদুল হক হিরু,মোসলেম উদ্দিন, মোঃ ইউছুপ সেক্রেটারি এবং আমিসহ মাননীয় জেলা সমবায় কর্মকর্তা মহোদয়ের সাথে “কমিটি স্পষ্টকরণ” সম্পর্কিত জানতে চাইলে তিনি বর্তমানে মোহাজের সমিতিতে কোন কমিটি নাই মর্মে স্পষ্ট ভাষায় সাফ জানিয়ে দেয়। এতে একটি পক্ষের সভাপতি- সম্পাদক আমার বিরুদ্ধে নগর নিউজে মিথা অপপ্রচার চালিয়েছে।
মুলতঃ আমি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়মিত ঠিকাদার হই। বালু সংশ্লিষ্ট যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তাহা পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজার এর আওতায় সম্পাদিত কাজ ও উদ্বোধনকালীন সময়ের তোলা ছবি। এসব ছবি এ্যানিমেশন করে একটি কুচক্রিমহল আমার জনপ্রিয়তা ও পরিবারের সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করেছে মাত্র।
আমি সংবাদিক বন্ধুদের সরজমিন তদন্তপূর্বক সংবাদ প্রচার করার অনুরোধ জানাচ্ছি। সেই সাথে উক্ত বিভ্রান্তি মূলক সংবাদের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করার দাবী করছি। অন্যতায়৷ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমি জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ইনশাআল্লাহ।