বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য, জাতীয় সংসদের সাবেক প্যানেল স্পিকার ও হুইপ আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন,বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর, কিন্তু সেগুলোকে আমরা যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারছি না। রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে পারলে কৃষিকে সম্পূর্ণ স্বনির্ভর করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। কৃষকদের বিনামূল্যে সার ও বীজ সরবরাহ, বিনা জামানতে ঋণ এবং আধুনিক কৃষি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।”

১১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে দিনব্যাপী সাতকানিয়ার কাঞ্চনা এলাকায় গণসংযোগ ও বিভিন্ন পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। পথসভাগুলোতে সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাস্টার আব্দুস সোবহান, সেক্রেটারি তারেক হোসাইন, সাবেক সেক্রেটারি ও কাঞ্চনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা মোজাফফর আহমদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও কাঞ্চনা ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আবু তাহের, সেক্রেটারি জায়েদ হোসাইন, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আব্দুল গনি এবং শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি শেখ আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
শাহজাহান চৌধুরী বলেন, “হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান সবাই মিলেই আমরা বাংলাদেশী। একটি পক্ষ আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে সংখ্যাগুরু–সংখ্যালঘু প্রশ্ন তোলে। কিন্তু আমাদের আমিরে জামায়াত, বিশ্বনন্দিত জননেতা ডা. শফিকুর রহমান ঘোষণা করেছেন—এ দেশে সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু বলে কোনো ভেদাভেদ নেই। আমাদের পরিচয়—আমরা সবাই বাংলাদেশী।শাহজাহান চৌধুরী আরো বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করতে পারলে সারাদেশকে শান্তির জনপদে রূপান্তর করা হবে। শিক্ষা, শান্তি ও উন্নয়নে দেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর উপযোগী করে তোলা হবে। এ সময় তিনি উন্নয়ন ও শান্তির প্রতীক দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, সাতকানিয়া–লোহাগাড়াকে শিক্ষা, শান্তি ও উন্নয়নের রোল মডেল করার লক্ষ্যে আমি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি।”তিনি সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের পরিবেশ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শাহজাহান চৌধুরী দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে জোটপুকুরিয়া বাজার,লতাপীর বাজার,মথুরা ডাঙ্গা,মনু ফকিরহাট,গোলজানপাড়া,ফুলতলা স্টেশনসহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় গণসংযোগ করেন।










