বাংলাদেশকে পুরোনো রাজনীতির পথে আর ফেরত যেতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এসময় জুলাই অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার রক্ষা ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণে তিনটি রাজনৈতিক দল নিয়ে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ নামের নতুন একটি জোট গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে রয়েছে- এনসিপি, বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমরা একটা ঐক্য প্রক্রিয়ার ভেতরে ছিলাম। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর যে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা বাংলাদেশে তৈরি হয়েছিল, প্রায় দেড় বছরে আমরা কিন্তু তার সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে পারি নাই। আমাদের সেক্ষেত্রে অনেক জায়গায় হতাশা রয়েছে। আমরা দেখেছি, ঐকমত্য কমিশনে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নানা শক্তি সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা যারা সংস্কারের পক্ষে, পরিবর্তনের পক্ষে তারা গণঅভ্যুত্থানকে সফল করার জন্য, তার আকাঙ্ক্ষাগুলোকে সফল করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে এসেছি।’
সেই রাজনৈতিক শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়েছে জানিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমাদের এই ঐক্য প্রক্রিয়া আজকে শুরু হয়েছে এবং এটা চলমান থাকবে। আমরা বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান করছি, বার্তা দিচ্ছি- গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলো আমরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি। আমরা বাংলাদেশকে পুরাতন রাজনীতির পথে আর ফেরত যেতে দেব না।’
৫ আগস্টের পরের এবং আগের বাংলাদেশ এক হবে না উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা নানা আলামত দেখছি যে বাংলাদেশ হয়তো আগের মতো হয়ে যাবে। আমরা সেই ধরনের হতাশা এবং ভীতি মানুষের ভেতরে দেখতে পাচ্ছি। তাই আমরা সাহসটা জানাতেই আজকে এসেছি। আমরা আমাদের শক্তি-সামর্থ্য দিয়ে, বাংলাদেশের যে পরিবর্তনের যাত্রা শুরু হয়েছে সেই যাত্রার পথে থাকবো। যারা অন্যান্য রাজনৈতিক দল রয়েছে, যারা এই পরিবর্তনের পক্ষে কাজ করতে চায়, তাদের আহ্বান জানাবো এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে।’
এনসিপির আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘আমরা তিনটি রাজনৈতিক সংগঠন সংস্কার, বাংলাদেশের জাতীয় মর্যাদা ও অর্থনৈতিক মুক্তির প্রশ্নকে সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আমাদের এই যৌথ প্রক্রিয়ার নাম দিয়েছি গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট। কারণ, বাংলাদেশের বিগত ১৬ বছরের লড়াইটা কিন্তু হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। এতে সংস্কারের আলাপগুলোও ছিল। ফলে নির্বাচন কেবল ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্য হবে না। নির্বাচনটাকে আমরা রাজনৈতিক নির্বাচনে পরিণত করতে চাই। দেশ বদলের জন্য, সংস্কার প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য এবং আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির যাত্রাকে অব্যাহত রাখার জন্য আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। আমরা সেটা ঐক্যবদ্ধভাবে করবো।’










