‘জুলুম ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দাঁড়িপাল্লার বিজয় ঠেকানো যাবে না’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরাট সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারী মুহাম্মদ উল্লাহ বলেছেন, আজকের এই দিনে ১৯৯০ সালে দেশের জনগণ স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে পতন ঘটিয়ে ছিল। পতিত খুনী হাসিনা পালালেও তার দোসররা এখনও সরকারী বিভিন্ন পদে নতুন নামে বেনামে ক্ষমতায় রয়েছে। তাই স্বৈরাচারের পেতাত্মাদের সব জায়গা থেকে সরাতে হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-১১ আসনে জামায়াতের পক্ষে দাঁড়ি পাল্লার বিজয় দেখে একটি গোষ্ঠী জুলুম ও নির্বাচনী কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তারা এই সব করে এ আসনে দাঁড়ি পাল্লার বিজয় ঠেকানো যাবে না। তিনি সকলকে সমন্বয় করে ধৈর্যের সাথে নির্বাচনী কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজয় ছিনিয়ে আনার জন্য সর্বস্তরের দায়িত্বশীলদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

চট্টগ্রাম মহানগরীর-১১ আসনের থানা ও ওয়ার্ড আমীর এবং মহিলা থানা ও ওয়ার্ড সেক্রেটারীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত দায়িত্বশীল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল-১০টায় বন্দর ইসলামী শ্রমিক সংঘের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও দাঁড়িপাল্লার নমিনি শফিউল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন আসনের সহকারী পরিচালক অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের হোসাইন, সদস্য সচিব মুহাম্মদ আব্দুল গফুর, নগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও ডবলমুরিং থানা আমীর ফারুকের আজম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারী আবু তালেব চৌধুরী প্রমুখ।

অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াত নেতা সরওয়ার জাহান সিরাজী, মুহাম্মদ ইকবাল শরীফ, মাওলানা বেলাল হাসান, ফিরোজ আহমদ, মুজিবুর রহমান, শ্রমিক নেতা হেলাল উদ্দীন মহিলা দায়িত্বশীলাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মহানগরীর নেত্রী রাবেয়া বেগম ও শাহেদা মতিন প্রমুখ।