‘ইসলামী কল‍্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে উলামা-মাশায়েখদেরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে’

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, আলেম ওলামাগণ নবীর উত্তরসূরী। খতমে নবুয়তের পর কিয়ামাত অবধি মানুষকে সঠিক পথের দিশা দেয়ার জন্য আলেম ওলামাগণ কাজ করবেন। কিন্তু আজ আমরা আলেম ওলামাগণ সেই কাজ যথাযথ আদায় করছি কিনা, সেটা পর্যালোচনার বিষয়। অথচ ইসলামী কল‍্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে উলামা- মাশায়েখদেরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। মসজিদের ইমামগণ রাষ্ট্রেরও ইমাম হওয়ার যোগ্য হলে দেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে, ইনশাআল্লাহ।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে সাতকানিয়ায় জামায়াতের ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা কামাল উদ্দীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সাতকানিয়া লোহাগাড়ার গণমানুষের প্রিয় নেতা ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা পেশ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. নিজাম উদ্দীন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টীম সদস্য অধ্যাপক জাফর সাদেক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আমীর জননেতা আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইসহাক, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল ফয়েজ। ওলামা মাশায়েখদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাতকানিয়া আলীয়া মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুল হক, বর্তমান প্রিন্সিপাল মাওলানা মুনিরুল আলম, গারাংগীয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল আজিম, ছৈয়দাবাদ দুদু ফকির সিনিয়র মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুর রশিদ আল কাদেরী, গারাংগীয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা কুতুব উদ্দীন, প্রভাষক মাওলানা মিজানুর রহমান।

উপজেলা ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা আবু আহমদ এর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন পৌরসভা জামায়াতের আমীর হাফেজ মাওলানা হামিদ উদ্দীন আজাদ, উপজেলা সেক্রেটারি তারেক হোছাঈন, উপজেলা অফিস সেক্রেটারি আবদুল্লাহ আল নোমান, পৌরসভার মাওলানা জয়নাল আবেদীন সহ প্রমুখ উপজেলা ও পৌরসভা নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, সত্য ও ন্যায়কে প্রতিষ্ঠিত করতে বাতিলের রক্তচক্ষুকে ভয় পেলে চলবে না। জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর কাজকে সাহসিকতার সাথে গ্রহণ করে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আগামী নির্বাচনে জনগণ জামায়াতে ইসলামী তথা ইসলামী শক্তির বিজয় দেখতে চায়। আলেম ওলামাগণ এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করলে বিজয় নিশ্চিত হবে, ইনশাআল্লাহ।