র্কণফুলী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন সরকার হারচ্ছে কোটি কোটে টাকার রাজস্ব

ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় কর্ণফুলী নদীর ভাঙ্গনে এলাকার মানুষের বসত বাড়ী ও ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাধঁ নদীতে ধসে পড়ছে ।

শফিউল আলম, রাউজান, (চট্টগ্রাম ) প্রতিনিধি ঃ র্কণফুলী নদী থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন সরকার হারচ্ছে কোটি কোটে টাকার রাজস্ব আয় নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় কর্ণফুলী নদীর ভাঙ্গনে এলাকার মানুষের বসত বাড়ী ও ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাধঁ নদীতে ধসে পড়ছে । রাউজানের খেলার ঘাট, লাম্বুর হাট, পাচাখাইন, উভলং, পালোয়ান পাড়া, কচুখাইন এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন চলছে । রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের খেলার ঘাটের পুর্ব পাশে ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বসাক পাড়া, পেয়াদা পাড়ার পাশে ও নাজিরার চরে পাশে বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপের পাশে কর্ণফুলী নদীতে প্রতিদিন রাউজান , বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম নগরীর কালুর ঘাট এলাকা থেকে শত শত ড্রেজার এসে অভৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে । ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করার পর বালু ভর্তি ড্রেজার গুলো কর্ণফুলী নদী দিয়ে রাউজানের খেলার ঘাট, লাম্বুর হাট, পাচাখাইন, উভলং, পালোয়ান পাড়া, কচুখাইন এলাকা বোয়ালখালী উপজেলার চরনদ্বীপ, কধুর খীল, নগরীর কালুর ঘাট এলাকায় নিয়ে গিয়ে ড্রেজার থেকে বালু উত্তোলন করে বড় বড় বালুর স্তুপ করে রাখেন রাউজান -বোয়ালখালী উপজেলা ও নগরীর কালুর ঘাট এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা । বড় বড় বালুর স্তুপ থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাকে ও জীপে করে
বালু বিক্রয় করছেন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা । কর্ণফুলী নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন কোটি টাকার মুল্যের বালু উত্তোলন করা হলে ও সরকার বালু উত্তোলন বাবদ কোন রাজস্ব আয় পায়না । কর্ণফুলী নদী থেকে উত্তোলন করা বালু থেকে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত । রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন, উভলং, পালোয়ান পাড়া, পাচঁখাইন দরগাহ বাড়ী, লাম্বুর হাট, খেলার ঘাট, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বসাক পাড়া, পেয়াদা পাড়া এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন কালে দেখা যায় কর্ণফুলী নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে উত্তোলন করা বড় বড় বালুর স্তুপ । বড় বড় বালুর স্তুপ থেকে ট্রাক ও জীপে করে বালু বিত্রয় করা হচ্ছে । সরেজমিনে পরিধশন কালে আরো দেখা যায় বাগোয়ান ইউনিয়নের খেলার ঘাটের পুর্ব পাশে ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বসাক পাড়া, পেয়াদা পাড়ার পাশে ও নাজিরার চরে পাশে বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপের পাশে কর্ণফুলী নদীতে বড় বড় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এল্কাার বাসিন্দ্বাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে প্রতিদিন শত শত ড্রেজার কর্ণফুলী নদীতে এসে বালু উত্তোলন করেন। কর্ণফুলী নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করার সময়ে শত শত ড্রেজারের বিকট শব্দে নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দ্বারা রাতে ঘুম যেতে পারেনা । এছাড়া ও শত শত ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় কর্ণফুলী নদীর ভাঙ্গনে এলাকার মানুষের বসত বাড়ী ও ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাধঁ নদীতে বিলিন হয়ে পড়েছে । এলকার বাসিন্দ্বারা তাদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় বসতবাড়ী, হাট বাজার নদীর ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাধ ধসে পড়লে এলাকার লোকজন নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন কাজে বাধা দিলে বালু উত্তোলনকারী প্রভাবশালী ব্যক্তিদের লালিত সন্ত্রাসীরা এলাকার লোকজনকে মারধর করে । বালুখেকোদের নির্যাতনের ভয়ে এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। এলাকায় ঘুরে তথ্য অনুসন্দ্বানে জানা যায় কর্ণফুলী নদীর বালু মহল নিয়ন্ত্রনকে কেন্দ্র করে রাউজানের নোয়াপড়ার সন্ত্রাসী আজিম উদ্দিন মাহমুদ চট্টগ্রাম নগরী থেকে গত কয়েক বৎসর পুর্বে নিখোজ হলে ও তার পরিবারের সদস্যরা তার কোন হদিস পায়নি। এছাড়া ও কর্ণফুলী নদী থেকে উত্তোলন করা বালু ট্রাকযোগে পরিবহন করার সময়ে রাউজানের পাচঁখাইন এলাকায় ট্রাক চাপায় দু মহিলা নিহত হয় । এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগের কাছে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনয়েদ কবির সোহাগ বলেন, কর্ণফুলী নদীতে রাউজানের নোয়াপাড়া অংশের একটি বালু মহল এক ব্যক্তি ইজারা নিলে ও ইজারার চুক্তিমুল্যের টাকা জমা দেয়নি । কর্ণফুলী নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্বে অভিযাণ পরিচালনা করা হবে ।