ইমাম-খতিবরা সামাজিক শক্তির প্রতীক: ধর্ম উপদেষ্টা

ইমাম-খতিবরা সামাজিক শক্তির প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

রোববার (২৩ নভেম্বর) কুমিল্লা নগরীর টাউনহল মাঠে ইমাম-খতিব সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় মসজিদে আরবি খুতবা পড়ার আগে মুসল্লিদের সামনে জনবান্ধব বিষয়গুলো তুলে ধরার জন্য ইমামদের প্রতি আহ্বান জানান ধর্ম উপদেষ্টা।

খালিদ হোসেন বলেন, আপনারা আসমানে কথা অবশ্যই বলবেন, জমিনরে কথাও বলবেন। পাশাপাশি মাদক, যৌতুক, কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজি, ফেসবুকের ইতিবাচক ভূমিকা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, সমাজ সেবা ও দরিদ্র মানুষের কল্যাণ এই সমস্ত বিষয়গুলো আপনারা জনগণের কাছে তুলে ধরবেন।

উপদেষ্টা বলেন, ইমাম-খতিবরা হচ্ছেন সামাজিক শক্তির প্রতীক। আমি নিজেও ১৬ বছর চট্টগ্রাম হালি শহরে একটি মসজিদের খতিব ছিলাম। এই খতিব থেকে উপদেষ্টা হয়েছি। আমি ইমাম কমিউনিটি, খতিব কমিউনিটির সদস্য। আমার বাবা, নানা, দাদা সবাই ইমাম ছিলেন।

বেসরকারি কমিটি কর্তৃক পরিচালিত মসজিদগুলোর দায়িত্বশীলদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ইমাম, খতিব ও খাদেমদেরকে জাতীয় পে-স্কেলের আওতায় সম্মানজনক বেতন-বাতা ও উৎসব বাতা প্রদান করবেন। ইমাম-খতিবদের অসম্মান করলে সমাজের মানুষের সম্মান থাকে না। আমরা একটা নীতিমালা তৈরি করেছি। অক্টোবরের ৩০ তারিখ ডিকলার করতে চেয়েছিলাম। আমরা একটা কর্মশালা করেছিলাম। সেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এসেছে। শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশনের গুরুত্বপূর্ণ মতামত নিয়েছি। মোতাওয়াল্লী সমিতির মতামত আমরা নিয়েছি। আমরা আশা করি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ঘোষণা করতে পারবো।

উপদেষ্টা বলেন, মডেল মসজিদের নীতিমালা আছে। ইমামের বেতন ১৫ হাজার, মুয়াজ্জিনের বেতন ১০ হাজার এবং খাদেমের সাড়ে ৭ হাজার টাকা। এটার নীতিমালাও আমরা করেছি। আশা করি আমরা দায়িত্বে থাকতে মডেল মসজিদের জন্য বেতন বাড়িয়ে নতুন একটা নীতিমালা জাতির কাছে একটা প্রকাশ করতে পারবো।

ইমামদের চিকিৎসা খাতে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, কুমিল্লাসহ সারা দেশে কোনো ইমাম যদি অসুস্থ হন এবং ওষুধ কেনার ব্যবস্থা না থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। ধর্ম মন্ত্রণালয় আপনাদের ওষুধ কেনার মতো অর্থ নিয়ে সহযোগিতা করবে।

এ সময় শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ মুফতি শামীম মজুমদার, মহাসচিব মুফতি শরীফ উল্লাহ তারেকী ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক আশেকুর রহমান, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারি আবু, মহানগর জামায়াতের সভাপতি কাজী দ্বীন মোহাম্মদসহ বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিবরা উপস্থিত ছিলেন।