দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকালে ঢাকা থেকে সড়কপথে চট্টগ্রাম আসেন নৌসচিব। দুপুরে তিনি বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সূত্র জানায়, সভায় করোনা পরিস্থিতিতে আমদানি পণ্যের ডেলিভারি কম হওয়ায় সৃষ্ট বন্দরের জেটি, ইয়ার্ড, টার্মিনালের পাশাপাশি বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলোর জট, হিমায়িত (রেফার) কনটেইনার জট, জাহাজের গড় অবস্থান সময় বেড়ে যাওয়া, বে টার্মিনালে নতুন ইয়ার্ড নির্মাণ, চলমান প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা, প্রস্তাবনা উত্থাপিত হয়।
সভায় চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম গতিশীল রাখতে বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর) করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়।
পৌনে ২টায় নৌসচিব নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের ৩ নম্বর বার্থে হ্যান্ডলিং কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। এ সময় ‘এমভি অ্যাটআউট’ জাহাজের কনটেইনার হ্যান্ডলিং করছিলো শীর্ষ টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেক।
সচিবের সঙ্গে ছিলেন বন্দরের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) কমডোর এম শফিউল বারী, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল আহমেদ জুনাইদ আলম খান, সচিব মো. ওমর ফারুক, উপ পরিচালক নিরাপত্তা মেজর মো. রেজাউল হক, টার্মিনাল ম্যানেজার মো. কুদরত ই খুদা, সহকারী টার্মিনাল ম্যানেজার মো. আশরাফ করিম চৌধুরী, সাইফ পাওয়ারটেকের সিওও ক্যাপ্টেন তানভির হোসেন, টার্মিনাল ব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
এরপর নৌসচিব নিউমুরিং ওভার ফ্লো ইয়ার্ড নির্মাণ প্রকল্প, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি), এছাক ব্রাদার্স অফডক ও প্রস্তাবিত বে টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শন করেন।
নৌসচিব শুক্রবার (১৫ মে) সকালে ফেনী জেলায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে চলমান ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় অংশগ্রহণ ও বিকেলে দাগনভূঞা উপজেলায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিদর্শনের কর্মসূচি রয়েছে।
