অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির জনক নোমানের মৃত্যুতে রাউজানে শোকের মূর্ছনা

শফিউল আলম, রাউজানঃ বাংলাদেশ জাতিয়াবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন চট্টগ্রামের অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির জনক। হিংসা প্রতিহিংসা ছিলনা তার কাছে। আবদুল্ল্রাহ আল নোমান চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়নের দক্ষিন সর্তা গ্রামে জম্মগ্রহন করেন। তার পিতা মরহম আহম্মদ কবির চৌধুরী। রাউজান আর আর এসি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে লেখপড়া করেন। পরবর্তী বোয়ালখালী কানুগপাড়া কলেজ লেখপাড়া করেন। কলেজ জীবনে লেখাপড়ড়া করার সময়ে ছাত্রইউনিয়নের রাজনীতির সাথে জড়িত হয় ।

ছাত্রজীবনে রাউজানের প্রতিটি এলঅকায় তার পদচারনা ছিল। ছাত্ররাজনীতি করার সময়ে তাকে জেল জুলুমের শিকার হতে হয় । ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে মহান মুক্তিযুদ্বে অংশ গ্রহন করেন। স্বাধীনতার পরবর্তী ১৯৭৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম ৬ রাউজান আসন থেকে ভাসানী ন্যাপের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে তৎকালীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের কাছে পরাজিত হয়। পরবর্তী জাতিয়তাবাদী দলের প্রতিষ্টাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন। বিএনপিতে যোগ দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর ও চট্টগ্রামে জেলায় সুদক্ষ নেতৃতের কারনে চট্টগ্রামে জাতয়িতাবাদী দলকে একটি শক্তিশালী রাঝনৈতিক দল হিসাবে গড়ে তুলেন আবদুল্ল্রাহ আল নোমান । ১৯৮১ সালের ৩১ মে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে বিদ্রোহী সেনাবাহিনীর হামলায় জাতিয়তাবাদি দলের প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান তৎকালীন রাস্টপতি জিয়াউর রহমান নিহত হয় । জিযাউল রহমান নিহত হওয়ার পর অস্থায়ী রাস্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন আবদুস সাত্তার। তৎকালীন সেনাবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল এরশাদ অস্থায়ী রাস্টপতি আবদুস সত্তারকে সরিয়ে দিয়ে সামরিক আইন জারী করে নিজেই রাস্টপতির দায়িত্ব নেয়। পরবর্তী মেজর জেনারেল এরশাদ জাতীয় পাটি গঠন করে দেশের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্টিত হয় । জাতীয় পাটির শাসন আমলে স্বৈরচার এরশাদের বিরোধী আন্দোলন গড়ে উঠে ।

নুর হোসেন, ডাঃ মিলন সহ অনেক নেতা কর্মীকে আন্দোলন করতে গিয়ে রাজপথে প্রাণ দিতে হয় । স্বৈরচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময়ে চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয় অসাপ্রদায়িক রাজনীতের জনক আবদুল্ল্রাহ আল নোমান । ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকারের পতন হয়্ । ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বচানে আবদুল্ল্রাহ আল নোমান চট্টগ্রামের কোতোয়ালী আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাাচিত হয় । ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ´মতায় অধিষ্টিত হলে বিএনপি সরকারের মৎস ও পশু পালন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মরহুম আবদুল্ল্রাহ আল নোমান । পরবর্তী ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের কোতায়ালী আসন থেকে সংসদ সদস্য নিবাচিত হয় মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমান । ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় অদিষ্টিত হলে বিএনপি সরকারের খাদ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মরহুম আবদুলল্ল্রাহ আল নোমান ।

মন্ত্রী থাকাকালে রাউজানের হলদিয়া আমির হাট উত্তর সর্তা পশ্চিম ডাবুয়া, চিকদাইর এলাকায় সর্তা খালের ভাঙ্গনরোধে তিকন কিলেমিটার দৈর্ঘ বেড়ীবাধ নির্মান করে দেয় মরহুম আবদুল্ল্রাহ আল নোমান । এই বেড়ীবাধের কারনে হাজার হাজার মানুষ তাদেও বসতবাড়ী ফসলী জমি সর্তা খালের ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পায় । মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে বিট্রিস বিরোধী আন্দোলনের অগ্রনায়ক বিপ্লবী মাস্ট্রার দা সুর্যসেনের নোয়াপাড়া বসতভিটা জবর দখল থেকে উদ্বার করে । বিট্রিস বিরোধী আন্দোলনের অগ্রনায়ক বিপ্লবী মাস্ট্রার দা সুর্যসেনের বসতভিটাায় সুর্যসেনেক স্মরনীয় করে রাখতে মাস্টার দা সুর্য সেন স্বাস্ত্য কমপ্লেক্স ও মাস্ট্রার দা সুর্যসেনের সামাধী নির্মান করে দেয় মরহুম আবদুল্ল্রাহ আল নোমান । চট্টগ্রামে রাজনীতির মাঠে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মরহুম এবি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে রাজনৈতিক প্রতিদন্দ্বিতা থাকলে ও মরহুম আবদুল্ল্রাহ আল নোমান এর সাথে মরহুম এবি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কোন সংঘাত দেখা যায়নি কখনো । অসামপ্রদায়িক রাজনীতির জনক আবদুল্ল্রাহ আল নোমানের মৃত্যুর সংবাদ শুনে চট্রগাম সহ রাউজানে শান্তিপ্রিয় মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।