ঈদগাঁওয়ে ডজনাধিক স্পটে শুরু পাহাড় কাটার মহোৎসব

সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার: কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ঈদগাঁও উপজেলার মেহেরঘোনা রেঞ্জের ভাদিতলায় ডজনাধিক স্পষ্টে শুরু হয়েছে বনভূমির পাহাড় কাটার মহোৎসব। নাকের ডগায় এসব অপকর্ম চললেও বনবিভাগ রক্ষকের পরিবর্তে ভক্ষকের ভুমিকায় রয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।

সরজমিন দেখা গেছে, বিগত কমাস ধরে মেহেরঘোনা রেঞ্জ ও বন বিটের অধীন হাসিনা পাহাড় ,ভগ্গুইম্মা পাড়া, পশ্চিম ও পূর্ব ভাদিতলার পাহাড়ি বনভূমির ডজনাধিক স্পটে রাতের আঁধারে শুরু হয় দৈত্যকার স্কেভেটরের সাহায্যে পাহাড় কেটে মাটি পাচার। মধ্য রাত থেকে ভোররাত পর্যন্ত ১০/২০টি অবৈধ ডাম্পার যোগে এসব মাটি প্রতি ডাম্পার ২ থেকে ৩ হাজার টাকায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে বনভূমি খেকো সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ টাকা। যার একটি অংশ বনবিভাগসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে যাওয়ায় নির্বিঘ্নে এ পাহাড় নিধন চলতে থাকায় বনভূমির পাহাড়গুলো বিরানা ভূমিতে পরিণত হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়,রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে মাটি বহনে ব্যবহৃত এসব ডাম্পার বেপরোয়া চলাচলে পথচারীরা মৃত্যু ঝুঁকিতে এলাকায় চলাফেরা করে। এক কথায় পরিবেশ ধ্বংসের পাশাপাশি জনজীবন হুমকির মুখে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বনকর্তারা নিয়মিত মাসোহারা পেয়ে দেখেও না দেখার ভান করে আছে। অপরদিকে গণমাধ্যমে লেখালেখি হলে অভিযানের নামে আইওয়াশ করে দায় সারে বনবিভাগ। অথচ এ বন কর্তাদের নিয়মিত পাহাড় খেকোদের সাথে উঠাবসা করে বলে স্থানীয়রা জানান।

স্থানীয়রা বনভূমির পাহাড় ও পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এসব ভূমিখেকোচক্র ও দূর্নীতিবাজ বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

মেহেরঘোনা বিট কর্মকর্তা ফিরোজ কবির বলেন,আগেরমত এখন পাহাড় কাটা হয়না, তারপরো খোঁজখবর নিচ্ছি।

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ মারুফ হোসেন বলেন, ইতিপূর্বে অভিযান পরিচালনা করে মামলা দেয়া হয়েছে। এরপরও তড়িৎ এ বনখেকোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।