ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর হলো জাতীয় ঐক্য ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির পুনর্জাগরণের দিন: মীর হেলাল

বিএনপি কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর হলো জাতীয় ঐক্য ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির পুনর্জাগরণের দিন। এই দিনে শহীদ জিয়াউর রহমান দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনা ও জনতার মিলিত ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন।বর্তমানে কিছু রাজনৈতিক নেতা এবং গণমাধ্যমে বসে বিএনপি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক প্রপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। কিন্তু দেশবাসী জানে বিএনপি মানেই গণতন্ত্র, বিএনপি মানেই জনগণের অধিকার।”

ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় নগরীর নসিমন ভবন দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন মাঠ প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রদল সবসময় গণতন্ত্র ও অধিকার রক্ষার আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।”

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান বলেন, জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারন করে ছাত্রদল কে আগামীর বাংলাদেশ বির্নিমানে এগিয়ে আসতে হবে। অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ছাত্রদলকে সোচ্চার ভুমিকা পালন করতে হবে এবং সঠিক সংবাদ সাধারণ মানুষের মাঝে উপস্থাপন করাতে হবে। ছাত্রদল কে ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ভিত আর বেশি শক্তিশালী করতে হবে। ক্যাম্পাস কে সাধারণ ছাত্র ছাত্রী দের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস করার জন্য ভুমিকা রাখতে হবে।

বিশেষ আলোচক হিসেবে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য নসরুল কদির বলেন, বাংলাদেশের যে কোন ক্রান্তিকালে ছাত্রদল সবার আগে এগিয়ে আসছেন।১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থান,স্বৈরাচার হাসিনা পতন আন্দোলনে ছাত্রদল মূখ্য ভুমিকা পালন করে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন এবং আগামীতেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান প্রদত্ত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ছাত্রদল কে সার্বক্ষনিক সজাগ থাকতে হবে।
উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্আহবায়ক আসিফ চৌধুরী লিমন, যুগ্ম আহবায়ক যথাসময়ে তারিকুল ইসলাম তানভীর, সামিয়াত আমিন জিসান, জিএম সালাহ উদ্দিন কাদের আসাদ, আরিফুর রহমান( মাষ্টার আরিফ), জহির উদ্দিন বাবর, শহিদুল ইসলাম সুমন, সাব্বির আহমেদ, খন্দকার রাজিবুল হক বাপ্পি, মোহাম্মাদ আনাছ, নুর জাফর নাইম রাহুল,ফখরুল ইসলাম শাহীন,সদস্য শামসুদ্দীন শামসু,আবু কাউসার,আল মামুন সাদ্দাম, দেলোয়ার হোসেন শিশির ও আব্বাস উদ্দিন এবং নগরীর ৪১টি ওয়ার্ড ও ১৫টি থানা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।
শেষে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের চেতনা সমুন্নত রাখার শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।