১ যুগ ধরে বিএনপির সক্রিয় নেতা নুরুল হক, ঈদগাঁওয়ে আগস্ট হত্যা মামলার আসামী

সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে কক্সবাজারের ঈদগাঁও’র ৪ ও ৫ই আগস্টের ঘটনা নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ১৬০ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার ১২১ নং আসামী করা হয়েছে ঈদগাঁও ভাদিতলা এলাকার নুরুল হককে। অথচ নুরুল হক একজন সক্রিয় বিএনপি নেতা। যিনি বিগত সরকারের আমলে বিএনপির ব্যানারে সরকার পতনের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।

এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে করা এ মামলা কে বা কারা করেছে তা এখনো জানেনা কেহ। তবে ধারণা করা হচ্ছে বৈছাআ এর কেন্দ্রীয় ছাত্র প্রতিনিধি কতৃক মামলা জমা দেওয়া হয়েছে। যা নেওয়া সম্পুর্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে। আর এ তথ্যে অনেকটা ব্যাক্তিগত শত্রুতার জেরে নিরীহ মানুষকে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

এনসিপির ঈদগাঁওর সংগঠক তারেকুর রহমান বলেন, কে বা কারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে ঈদগাঁও’র ৪,৫ আগস্টের ঘটনা নিয়ে মামলা জমা দিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নন তিনি। তবে এ মামলায় ছাত্র আন্দোলনে জড়িত নয় এমন কাউকে আসামী করা হলে এর জোরালো প্রতিবাদ জানাবেন তিনি।

গতকাল রবিবার রাত ১০ টার দিকে ব্যাক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে আপলোড করা এক পোস্টে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দু শুক্কুর লিখেন, “যিনি দীর্ঘ ১২ টি বৎসর বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয় ছিলেন তিনি কিভাবে আগষ্ট হত্যা মামলায় আসামী হয়? কাদের ইশারায় এসব হচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম নিয়েছে ঈদগাঁওতে।

ব্যাক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে নুরুল হকের ছেলে রাশেদুল হক রানা’ও লিখেন একই কথা ” আমার বাবা বিএনপির রাজনীতিতে থেকেও কিভবে আগস্ট হত্যা মামলার আসামী হয়?

তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আরও লিখেন গোয়েন্দা বিভাগকে পারিপার্শ্বিক শত্রুতার জেরে কেউ ভূল তথ্য দিয়ে তার বাবাকে অযথা মামলায় ফাঁসিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।