গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন

পাঁচ কমিশনের দেয়া সংস্কার প্রস্তাবনায় গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে সংলাপে বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংসদ ভবনের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠকের শুরুতে কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘পুঞ্জিভূত সংকট উত্তরণে সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন দিয়েছে। যে ঐক্যের মাধ্যমে ফ্যাদিবাদের পতন ঘটেছে, সেই ঐক্য বজায় রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী প্রজন্ম এবং নতুন বাংলাদেশের জন্য এই প্রচেষ্টা। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এই আশাবাদ।’

দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ তৈরি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে আলী রীয়াজ।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, ‘অংশীজনদের ঐকমত্যের বিষয়গুলোই জুলাই সনদ হিসেবে গৃহীত হবে। দ্বিমত থাকা বিষয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে। ঐকমত্যের মধ্য দিয়েই গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে হাঁটবে বাংলাদেশ।’

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম ধাপের আলোচনায় এর আগে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ অন্য দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে ঐকমত্য কমিশন। আজ গণসংহতি আন্দোলনের পর বিকেলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সঙ্গে সংলাপে বসবে ঐকমত্য কমিশন।

রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে দুধাপে ১১টি কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।