মির্জা ইমতিয়াজ শাওন, প্রিয় চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে তিনদিনের বৈশাখী মেলা। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে এই মেলা শুরু হয়। নগরীর লালদীঘি ময়দানে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী আব্দুল জব্বারের বলীখেলা ঘিরে চট্টগ্রামে এই মেলা বসে। আর বলীখেলা অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে। ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলী খেলার ১১৬তম আসর প্রতিবছরের মতো বাংলা বর্ষের ১২ বৈশাখ অর্থাৎ শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল চারটায়। লালদীঘির মাঠে বলীখেলা হবে। বাঁশ ও বালি দিয়ে মাঠে বলিখেলার মঞ্চ (রিং) তৈরি শেষ পর্যায়ে।বলীদের থাকার ব্যবস্থা করেছে সিটি করপোরেশন। মেলার পৃষ্ঠপোষক গ্রামীণফোন।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুব সমাজকে সংগঠিত করতে ও শরীর গঠনে উৎসাহিত করতে ১৯০৯ সালে নগরীর বক্সিরহাট এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার সওদাগর লালদীঘি মাঠে আয়োজন করেন কুস্তি প্রতিযোগিতা যা এখন জব্বারের বলীখেলা নামে পরিচিত। এই বলী খেলায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, তিন পার্বত্য জেলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে নানা বয়সী বলীরা অংশ নেন। বলীখেলা আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব, আবদুল জব্বার সওদাগরের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল জানিয়েছেন, বলীখেলার মূল পর্বের উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ। বিজয়ী বলীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বলীখেলার কমিটি কোনো স্টলমালিক বা বিক্রেতার কাছ থেকে চাঁদা বা ভাড়া নিচ্ছে না। যদি কেউ চাঁদাবাজি করে পুলিশকে সোপর্দ করে দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
বৈশাখী মেলায় বৈশাখী মেলায় বৈশাখী মেলায় মাটির তৈজসপত্র, ঝাড়ু, হাতপাখা, শীতলপাটি, দা-খুন্তি, প্লাস্টিকের সামগ্রী-ফুল, মণ্ডা-মিঠাই, গৃহসজ্জার সামগ্রী, গাছের চারা, তামা-কাঁসা-পিতলের সামগ্রী, কাঠের আসবাবপত্র, বেতের আসবাব, বাদ্যযন্ত্র, দোলনা, মাছ ধরার জাল, মোড়া, পিঁড়ি, জলচৌকিসহ কী নেই এই মেলায়। নগরের অধিবাসীরা সারাবছর অপেক্ষা করে থাকেন এই মেলার জন্য কারণ এখানেই মিলে গৃহস্থালীর সব জিনিসপত্র। কোতোয়ালী মোড় থেকে সিনেমা প্যালেস, আন্দরকিল্লা, লালদীঘির চার পাড়সহ আশপাশের এক বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়েই আকর্ষণীয় সব পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিভিন্ন জেলার দোকানিরা।দেশের আলোচিত জব্বারে বলীখেলা এবং বৈশাখী মেলা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) পক্ষ থেকে জনসাধারণের নির্বিঘ্নে চলাচল এবং যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে আন্দরকিল্লা থেকে আদালত পর্যন্ত প্রধান সড়কে মেলার দোকান না বসানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মেলাকে ঘিরে দোকান বিক্রি, দখল, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকবে বলে জানানো হয়।