চট্টগ্রামের রাউজানে দুই দিনের মাথায় আবারও গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে মুহাম্মদ ইব্রাহিম (৩০) নামের এক যুবদলকর্মীকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
রাউজান থানার গাজীপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। তিনটি অটোরিকশায় করে ১০ থেকে ১২ জন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত বাজারে এসে ইব্রাহিমকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। মাথায় ও বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ইব্রাহিম।
এ সময় তার বাবা মুহাম্মদ আলম ও চাচা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিমকে লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয়। গুলি না লাগলেও পালাতে গিয়ে পড়ে তারা আহত হয়েছেন। আবদুল হালিম ঘটনার পর পর ফেসবুক লাইভে এসে যারা গুলি করেছেন তাদের চিনেছেন বলে দাবি করেন। হত্যাকাণ্ডের শিকার ইব্রাহিম এলাকায় কোনো খারাপ কাজে জড়িত নন এবং যুবদল কর্মী ছিলেন বলে দাবি করেন আবদুল হালিম।
নিহত ইব্রাহিম রাউজানের আদর্শ গুচ্ছগ্রামের মুহাম্মদ আলমের ছেলে। ইব্রাহিম বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী বলে জানা গেছে।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে যুবদল কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে মোহাম্মদ রায়হান নামের এক সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। নিহতের মাথায় ও বুকে গুলি লেগেছে।
এর আগে গত শনিবার দিনগত রাতে রাউজান থানার বাগোয়ান ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গরিব উল্লাহপাড়া গ্রামের ভান্ডারি কলোনিতে যুবদলকর্মী মুহাম্মদ মানিক আবদুল্লাহকে (৩৬) গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত মানিক আবদুল্লাহও গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী ছিলেন।