বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেছেন, বান্দরবান জেলার আপার সম্ভাবনাময় উপজেলা থানচি জনসংখ্যা দিক দিয়ে কম হলে ও পর্যটন বিকাশের কেন্দ্রবিন্দু স্থান। পর্যটন খাট বিকশিত হলে অর্থনিতিতে অমূল পরিবর্তন সম্ভব।
প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা নাজুক, স্বাস্থ্য বিভাগের জনবল অপ্রতুল, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি হয়েছে। খুবই শান্তি প্রিয় মানুষের বসবাসের জায়গা, চান্দা বাজি,অপহরণ,ডাকাতি,সন্ত্রাস কর্মকান্ড ঘটনা দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে খুবই কম ঘটে। তবে একটা ঘটনা ঘটলে জাতীয় পর্যায় ইসুই হয়ে দাড়ায়। পর্যটন বিকাশ ও শিক্ষা স্বাস্থ্য ইত্যাদি জনগনের মৌলিক অধিকার ও মৌলিক চাওযাটা সেবা দেয়া লক্ষ্যে বর্সতমান সরকার দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং অর্থনিতি আয়ের উৎসব পরিবর্তন করতে গেলে পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে স্থানীয় সকল শ্রেনি পেশা মানুষের অগ্রনী ভূমিকা পালন করা হলে সরকারের উচ্চ মহলের সীমিত আকারে হলে ও পর্যটক ভ্রমনের উপর অবহিত করবো। এবং জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার মতো গত তিন মাসের কোন অপ্রিতিকর ঘটনার না ঘটলে অচিরে ভ্রমনের নিষেধাজ্ঞা উপর বিশেষ বিবেচনার করা যেতে পারে। জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট
থানচি উপজেলায় শুভাগমন উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্য উপরোক্ত কথা বলেন।
রোববার ২০ এপ্রিল দুপুরে থানচি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনের উপজেলা অডিটরিয়ান হলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ – আল- ফয়সাল সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন।
জেলা প্রশাসকের নিকট গত বছরে ২রা এপ্রিল থানচি উপজেলার কুকিচিং সংগঠনের কর্তৃক সোনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি ঘটনার পরবর্তীতে পর্যটকদের ভ্রমনের উপর নিষেধাজ্ঞা, ব্যাংক গুলিতে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় পরিমান টাকা উক্তোলন করতে না পারায়, আইন শৃংঙ্খলার পরিস্থিতির, পানির সংকট,চিকিৎসক অপ্রতুল,শিক্ষা ব্যবস্থা নাজুক বিষয়ের উপর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী করে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য খামলাই ম্রো, প্রেস ক্লাবের সভাপতি অনুপম মারমা, রেমাক্রী ইউপি চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা রনি, সরকারী করামকর্তাদের মধ্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অ: দা: মো: সোহেল রানা, এলজিইডি প্রকৌশলী মো: সিরাজুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে সহকারী প্রকৌশলী স্বপন চাকমা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত মো: নিজাম উদ্দিন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রতিনিধি উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক রতন কান্তি দে প্রমূখ।
মতবিনিময় শেষে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে নগদ অনুদানের চেক, শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাগ, ১২ টি ক্রীড়া সংগঠনকে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এর আগে জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি থানজি থানা, থানচি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শণ করেন। জেলা প্রশাসকের সাথে সফর সংগী হিসেবে জেলা প্রশাসকের স্বামী প্রফেসর ইমদাদ উল্লাহ,সহকারী কমিশনার (গোপনীয় শাখা) নবাব আলী, মো: শাহরিয়া,তৈন্য রাজবংশী, নাজিফা আক্তার, ফারজানা আক্তার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।