টেকনাফ স্থল বন্দরে বৈষম্যের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের মানববন্ধন

শামসু উদ্দীন টেকনাফ প্রতিনিধি: টেকনাফ স্থল বন্দরে অর্থ আত্মসাত এবং ন্যায্য অধিকার বৈষম্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে অধিকার হারানো শ্রমিকেরা ধর্মঘট ডেকে পণ্য খালাস বন্ধ করে দিয়েছেে।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে স্থল বন্দর প্রধান গেইটে মানববন্ধন করছেন শ্রমিকরা। তবে মিয়ানমারে পণ্য আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম চালু রয়েছে।

টেকনাফ স্থল বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘শ্রমিকদের একটি অংশ পণ্য খালাস বন্ধ রেখেছে এবং মিয়ানমারে পণ্য আমদানি রফতানি কার্যক্রম চলছে। কী কারণে ধর্মঘট ডেকেছে সে বিষয়ে আমরা খোঁজ নিচ্ছি।’

জানা গেছে, সকাল থেকে বাণিজ্য ঘাটে আমদানিকৃত মালামাল পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। এ ঘাটে শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরির দাবিতে বন্দরের প্রধান গেইটে লালকাপড় পরিধান করে মানববন্ধন আরম্ভ করে এবং পণ্যবাহী জাহাজ জেটি ঘাটে নৌঙরে পড়ে আছে।

স্থল,বন্দরের শ্রমিক আবুল মনসুর বলেন, বিগত ১৬ বছর দুঃশাসনের আমলে কতিপয় মাঝি শ্রমিকদের বৈষম্য সৃষ্টি করে ন্যায্য অধিকার থেকে বাদ দেয়।‘আমরা সারা দিন কাজ করে ন্যায্য মজুরি পাচ্ছি না। তাই আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি। মূলতঃ কতিপয় মাঝিরা ট্রাকপ্রতি ৭ হাজার টাকা করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেয় এবং ৩ হাজার টাকা করে মজুরি দিচ্ছে। তা ছাড়া সরাসরি বোট থেকে পণ্য গুদামে খালাস করলে মজুরি না দিয়ে টকাচ্ছে।

এ বিষয়ে টেকনাফ স্থল বন্দরের শ্রমিক নেতা মো. আজগর মাঝির সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অপর এক মাঝি মো.করিম বলেন, শ্রমিকরা মজুরি বাড়ানোর দাবিতে কাজ বন্ধ রেখেছেন। কিন্তু ব্যবসায়ীরা মজুরি না বাড়ালে মাঝিরা কীভাবে এটি শোধ করবে।

টেকনাফ স্থলবন্দর ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, ‘শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়বে। মূলত এটি মাঝি এবং শ্রমিকদের সমস্যা, আমাদের না।’

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে শ্রমিকদের স্থলবন্দরে কর্মবিরতির খবর শুনেছি। বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে