কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বর্ষিয়ান আলেম, হাজারো উস্তাদের উস্তাদ আলহাজ্ব মাওলানা ক্বারী আবুল কালাম আজাদ (৮৬) ইন্তেকাল করেছেন।ইন্নালিল্লাহে…রাজিউন।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১ টায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ৬ মেয়েসহ অসখ্য নাতি-নাতনি গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মৃত্যুকালিন ১৫ বছর ধরে তিনি হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা ইবনে আব্বাস আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছদরে মুহতামিম ছিলেন। সকলের কাছে তিনি ‘নয়া মৌলভী সাহেব হুজুর’ নামে পরিচিত ছিলেন। তার শেষ কর্মস্থল লেদা ইবনে আব্বাস (রা.) আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসা। এরআগে তিনি হ্নীলা দারুসসুন্নাহ আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় দীর্ঘ ৩৬ বছর, মরিচ্যা পাতাবাড়ি এহইয়াউস সুন্নাহ মাদ্রাসায় ১০ বছর, হলদিয়াপালং দাওয়াতুল হক আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় ২ বছর শিক্ষকতা করেন।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, তিনি সুস্থ অবস্থায় মাদ্রাসা থেকে গত ২২ জানুয়ারী কক্সবাজার ঈদগাহ ময়দানে ইসলামী মহাসম্মেলনে যোগদান করেন। এরপর শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার কারণে কক্সবাজারে বড় ছেলে হারুন উর রশীদের বাসায় অবস্থান করেন। সেখানে শুক্রবার নিজে মাগরিব ও এশারের নামাজের ইমামতি করেন। সর্বশেষ রাত ১২ টার দিকে অসুস্থতাবোধ করলে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মরহুমের নামাজে জানাযা শনিবার (২৫ জানুয়ারী) দুপুর ২টায় টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালী ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযা পুর্বে মরহুমের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন, পাতাবাড়ি এহইয়াউস সুন্নাহ মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আবু বকর, হলদিয়াপালং দাওয়াতুল হক আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আবদুল গফুর, সাবরাং দারুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা নুর আহমদ, সাবরাং নোয়াপাড়া ফারুকিয়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, লেদা ইবনে আব্বাস মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা শাকের আহমদ, রঙ্গিখালীর উন্নয়ন কর্মী জামাল উদ্দিন, টেকনাফ উপজেলা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী সরওয়ার কামাল সিকদার, সেক্রেটারী মাওলানা ফোরকান আহমদ, আমীর অধ্যাপক মাওলানা রফিক উল্লাহ, টেকনাফ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইসচেয়ারম্যান ইউনুছ বাঙ্গালী, হ্নীলা জামিয়া দারুস সূন্নাহ মাদ্রাসার সাবেক মুহতামিম মাওলানা আবছার উদ্দিন চৌধুরী, ছদরে মুহতামিম ক্বারী মাওলানা মোক্তার আহমদ, দৈনিক ইনকিলাব এর বিশেষ সংবাদদাতা শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার হাশেমিয়া কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মফিজুর রহমান মাদানী, কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নুরুল হোসাইন ছিদ্দিকী, টেকনাফ আল জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মুফতি কেফায়েত উল্লাহ শফিক ও পরিবারের পক্ষে মরহুমের বড় ছেলে হারুন উর রশিদ। জানাযায় ইমামতি করেন, মরহুমের মেঝ ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ শাহজাহান আরমান। এছাড়া জানাযায় তার দীর্ঘ চাকরী জীবনের সহপাঠি, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।