সদ্য ঘোষিত রাউজান উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি কমিটি ‘পকেট’ কমিটি বলে উল্লেখ করে তা প্রত্যাখান করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সমর্থিত বিএনপির নেতাকর্মিরা। ঘোষিত ওই কমিটি ৭২ ঘন্টার মধ্যে বাতিল করা না হলে, তার বিরুদ্ধে বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
রাউজান উপজেলা ও পৌরসভা তৃণমূল ও ত্যাগী বিএনপি নেতাকর্মিদের উপেক্ষা করে পকেট কমিটি ঘোষণা করার প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সমর্থিত বিএনপির নেতাকর্মি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করে অবিলম্বে ঘোষিত বিএনপির নতুন কমিটি বাতিল করে আরেকটি অংশগ্রহণমূলক সম্মেলনের দাবি জানানো হয়।
গতকাল ২৬ জানুয়ারি সকাল ১২টা সময় রাউজান সদরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাউজান পৌরসভা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ মনজুরুল আলম। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি সদস্য আবু জাফর চৌধুরী। উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ফিরোজ আহাম্মদ, রাউজান উপজেলা যুগ্ন আহবায়ক হাবিব উল্লাহ মাস্টার।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ নতুন কমিটি অবৈধ বলে উল্লেখ করে এজন্য উত্তরজেলা বিএনপির আহবায়ক, রাউজানের কৃতি সন্তান গোলাম আকবর খোন্দকারকে দায়ী করে নেতৃবৃন্দ বলেন ‘১৭ বছর এলাকায় থেকে যারা আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে উঠাবসা করেছে, তারাই শেখ হাসিনার মতো দিনের ভোট রাঁতের আধাঁরে করার মতোই,,বিগত ১৭ বৎসরে আওয়ামীলীগের সাথে আঁতাত করে একটা রাজনৈতিক মামলা হয়নি। তারা আজ বাসায় বসে পকেট কমিটি ঘোষণা করছে। তার প্রমাণ হলো
তাদের আজ্ঞাবহ একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে,, ফেসবুকে পকেট কমিটি ঘোষণা করেছে। অথচ তারাই একদিন আগে (১৮ জানুয়ারি আহুত) রাউজান বিএনপি ও পৌরসভা সম্মেলন স্থগিত করেন। কোন ইউনিয়নে সম্মেলন না করেই শহরে বসে কমিটি ঘোষণ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, রাউজানে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী কোন বিকল্প নেই। আমরা তার নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ। গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য এলাকায় সমাবেশ করছে। সংগঠনকে শক্তিশালী করেছে। আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর আমাদের নেতাকর্মিরা নির্যাতন, নিপীড়ন সহ্য করে সংগঠনকে শক্তিশালী করেছি। তারেক রহমানের ঘোষণা ছিল, প্রতিটি ইউনিয়নে, ওয়ার্ডে গিয়ে সম্মেলন করে উপজেলা, পৌরসভা সম্মেলন করবে। কিন্তু গোলাম আকবর খোন্দকার তৃণমূলের নেতাকর্মিদের মতামতকে তোয়াক্কা না করে তার প্রভাবিত নির্বাচন কমিশন দিয়ে ইচ্ছেমতো কমিটি ঘোষণা করেছে। ফলে ওই অবৈধ কমিটির নেতারা জনরোষের মধ্যে পড়েছে। নেতৃবৃন্দ ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ওই কমিটি বাতিল না করলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন ‘এর জন্য রাউজানে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হলে তার সব দায় গোলাম আকবর খোন্দকারকে নিতে হবে।’
এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ছৈয়দ ওয়াহিদুল আকবর,পৌরসভার বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক কাজী আনিসুজ্জামান সোহেল, সাবেক সভাপতি দিদারুল আলম চেয়ারম্যান, আবুল বশর চেয়ারম্যান, মোজাহের করিম, রমিজ উদ্দিন চৌধুরী,ডাবুয়া বিএনপি নেতা কামাল উদ্দিন,, নুরুল আলম, হারুনুর রশীদ, কাজী সরোয়ার মন্জু, উত্তরজেলা যুবদলের সহ সভাপতি সাবের সুলতান কাজল, ইউছুপ সওদাগর, মোজাম্মেল, ইউছুপ তালুকদার, মো. মাসুদ, শাহাজান শাকিল, আবুল কাসেম রানা, জানে আলম, মুছা মিয়া, মো. ইউছুপ, মোজাহের আলম, জসিম উদ্দিন, সালাহ উদ্দিন, জসিম মেম্বার, একরাম মিয়া, আবু বক্কর সিদ্দিক, শাহ আলম, মিজান, শাহেদ, জাহাঙ্গীর, মাইকেল, শেখ মো. নাজিম, এনাম, ফয়সাল, খোন্দকার প্রমুখ।
এ সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ১৪ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।