যুদ্ধাপরাধী-জঙ্গি-মাদককারবারি ও সন্ত্রাসীমুক্ত সংসদ চাই
চট্টগ্রামের যুব প্রতিনিধিরা যুদ্ধাপরাধী জঙ্গি মাদককারবারি ও সন্ত্রাসীমুক্ত সংসদের লক্ষ্যে যুববান্ধব ইশতেহার প্রত্যাশা করেছেন । একই সাথে তারা টেকসই উন্নয়ন , সমৃদ্ধ ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে আরো বেশি মনোযোগ দাবি করেছেন । চেয়েছেন সংসদে পর্যাপ্ত যুবপ্রতিনিধিত্বের সুযোগ।
আজ ( ১৭ ডিসেম্বর) সকাল দশটা থেকে প্রায় চারঘন্টাকাল এই যুবসংলাপে অর্ধশত প্রস্তাবনা তুলে ধরেন চট্টগ্রামের অন্ততঃ ২০টি সামাজিক যুবসংগঠন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব বঙ্গবন্ধু হলে অনুুষ্ঠিত হয় এটি । নগরীর যুব সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণে এই সংলাপে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন নাগরিক ও পেশাজীবী আন্দোলন নেতা, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। সংলাপে সন্মানিত অতিথি আলোচক ছিলেন সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ইঞ্জিনিয়ার আলী আশরাফ, সনাক-টিআইবি চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী, জাসদ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবুল, চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী আসন ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, দক্ষিণ জেলা এলডিপি সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. কফিল উদ্দিন চৌধুরী, চসিক’র সাবেক প্যানেল মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রেখা আলম চৌধুরী।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবু । মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সমাজকর্মী নেছার আহমেদ খান, প্রজন্ম চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা চৌধুরী জসীমুল হক, তরুণ প্রজন্ম’র মাহমুদুর রহমান শাওন, সংগঠক নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এ্যানেল, মানবাধিকার কর্মী আর কে রুবেল, ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরামের সভাপতি দহেন বিকাশ ত্রিপুরা, উন্নয়ন সংগঠন নার্গিস আক্তার প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন একশন এইড বাংলাদেশ-এর ডেপুটি ম্যানেজার কোরবান আলী। তরুন্যের ইশতেহার খসড়া তুলে ধরেন সাদিয়া মান্নান। উন্নয়ন সংগঠন ইপসার আয়োজনে ও একশন এইড বাংলাদেশ’র সহযোগিতায় আয়োজিত এ সংলাপে যুব সংগঠনসমূহ থেকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ, দুর্নীতি বন্ধ, উদ্যোক্তা তৈরি, সুশাসন নিশ্চিতকরন, সব অধিকার প্রতিষ্ঠা, স্বাস্থ্য এবং যৌন ও প্রজনন-স্বাস্থ্য রক্ষা, যুব নারী ও পুরুষদের মতামতের মূল্যায়ন, সম্প্রীতির সমাজ গঠনের জন্য খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বৃদ্ধি, যুব সংগঠন তৈরী, পাঠাগার স্থাপন, কম্পিউটার ক্রয়ে সহজশর্তে ঋণ প্রদান, আইন সম্পর্কে সচেতন করে তোলা, প্রতিবন্ধিদের উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা সহ অর্ধশত প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন যুব সংগঠন প্রতিনিধিরা।
সংলাপে বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সামাজিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় তিন কোটি তরুণ প্রথম বারের মতো তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে তরুণদের অংশগ্রহণ একান্ত জরুরী। সারা পৃথিবীতে তরুণদের বাদ দিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। তরুণদের সকল দ্বিধা ও বিভক্তি এবং হতাশা দূর করে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।